নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিগত ১০ বছর যাবত আমরা অসহায় মেহনতি মানুষেরা ইজিবাইক চালিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন যাপন করি। বিভিন্ন সময়ে সরকারের তরফ থেকে ইজিবাইক নিয়ে নিষেধাজ্ঞা পুলিশের হয়রানি থাকলেও সর্বশেষ মহামান্য আদালত ইজিবাইক গুলোকে মহাসড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কিন্তু সড়কে চলতে পারবে এ মর্মে রায় ঘোষণা করে।
পরবর্তীতে গত ১৩ই এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে আমাদের ইজিবাইক মালিক শ্রমিকের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ইজিবাইক মালিক শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠিত হয় মালিক ও শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ ভোটে। সূত্র: (Bangla Report)। কিন্তু ইদানিং শনির আখড়া এলাকার একটি গ্রুপ স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর নাম ভাঙ্গিয়ে একটি অবৈধ কমিটি গঠন করে চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে। সেই কমিটি গঠন করার পর ওই যে সে কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন হাফিজ এর নেতৃত্বে শনির আখড়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী টুন্ডা তৌহিদ, টাকলা হানিফ ও বিএনপি জনি আমাদের প্রতিটি ইজিবাইক থেকে দৈনিক ১২০ টাকা করে চাঁদা তুলতেছে।
শনির আখড়া হইতে কোনাপাড়া পর্যন্ত দৈনিক ১৫০ টি ইজিবাইক চলাচল করে। হাফিজ উদ্দিন হাফিজ পুলিশ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে একপ্রকার জোরপূর্বক প্রতি দিন ১৮ হাজার টাকা চাঁদা তুলছে। যাত্রাবাড়ী থানা প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।
সম্প্রীতি হাফিজ উদ্দিন হাফিজের এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ইজিবাইক মালিক শ্রমিক কমিটির নির্বাচিত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু, কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান শান্ত, কমিটির সাধারণ সম্পাদক যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান খান তার্কিশ, ফয়সাল আহমেদ লিংকন প্রতিবাদ করলে হাফিজ উদ্দিন হাফিজ উল্টো প্রকৃত মালিক শ্রমিকদের নামে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করে গত ১২/৩/২০১৩ ইং তারিখে সন্ধ্যা ছয়টা ৫০ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ী থানায়।
এই হাফিজ উদ্দিনের নামে ইতিপুর্বে বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজী মামলা রয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি শফিকুল আলম শামীম এবং এসআই সাইফুল ইসলাম প্রকৃত মালিক শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে তাদেরকে দূরে রাখে। এই সুযোগে হাফিজ উদ্দিন হাফিজ, মুন্না বেপারী, তৌহিদ,হানিফ ও মানসুরি ভূইয়া জনি কে দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে শনির আখড়া গোবিন্দপুর বাজারে আমাদের প্রতিটি ইজিবাইক থেকে ১২০ টাকা হারে চাদা তুলতেছে।
আমরা পরবর্তীতে প্রকৃত মালিক শ্রমিকরা কোন উপায়ান্তর না পেয়ে আজ মানববন্ধনে শামিল হয়েছি। আমরা দিন এনে দিন খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ। যে সকল নেতৃবৃন্দ আমাদের অধিকার আদায়ে সবসময় সোচ্চার থেকেছে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হাফিজ উদ্দিন হাফিজ জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
আরো উল্লেখ থাকে যে, শনিরআখড়া গোবিন্দপুর বাজারের দু পাশে সাধারণ জনগণ এর চলাচল বিঘ্নিত করে হাফিজউদ্দিন হাফিজ ফুটপাতে প্রায় ১৩০ টি দোকান বসিয়ে প্রতিটি দোকান হতে ৫০ টাকা হারে পুলিশের নামে চাঁদা তুলতেছে প্রতিনিয়ত। শুধু তাই ই নয় শনিরআখড়া আন্ডারপাস ব্রীজের নীচে ২৫ টি দোকান বসিয়ে প্রতিটি দোকান হতে ১৫০ টাকা চাঁদা তোলে হাফিজউদ্দিন হাফিজ এর লাইনম্যান টুন্ডা তৌহিদ ও হানিফ। এই চাঁদাবাজ হাফিজ এর হাত থেকে সাধারণ জনগণ পরিত্রাণ চায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply