শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৫৪৮ Time View

উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়মিত বৃক্ষরোপণ করায় কোস্টগার্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা আমাদের দেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা ও পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক হবে। আমাদের সমুদ্রসীমা রক্ষা এবং নদীমাতৃক দেশকেও নিরাপদ করার জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একান্তভাবে দরকার। সেই দায়িত্ব কোস্টগার্ড যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছে। কারণ আমাদের এই অঞ্চল (বঙ্গোপসাগর) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলের সব নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রয়োজন এবং সেইদিকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সেটা আমরা যথাযথভাবে করে যাচ্ছি।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সংস্থাটি সৃষ্টির ইতিহাস তুলে ধরে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আগারগাঁওয়ে কোস্ট গার্ডের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সৃষ্টির পিছনে চমৎকার বিষয় রয়েছে। আমরা বিরোধী দলে। এত বেশি সংসদ সদস্য ছিল না। কিন্তু আমরা এই বিলটা নিয়ে এলাম। আমরা জানতাম সরকার পক্ষ কখনও এই বিল পাস করবে না। আওয়ামী লীগের এমপিরা সবসময় পার্লামেন্ট প্র্যাকটিসে আন্তরিক ছিলাম। আমরা নিয়মিত হাউজে উপস্থিত থাকতাম। আর বিএনপির যারা সদস্য… জামায়াত ও বিএনপি মিলে সরকার গঠন করেছিল। তারা সংসদে খুব একটা উপস্থিত থাকতো না।

তিনি বলেন, বিলটি (কোস্ট গার্ড বিল) যখন উঠে, তখন কণ্ঠভোট আসে। আমরা নিজেরা গুণে দেখি যে আমরা সংখ্যায় বেশি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এক সাংসদ সদস্য ডিভিশন ভোটের দাবি করেন। এই ভোটে বিরোধী দল জয়লাভ করে। তখনই এই আইনটি পাস হয়। এটা একটি ঐতিহাসিক ব্যাপার। ১৯৯৪ সালে এই ঘটনাটা ঘটেছিল।

১৯৯৪ সালে কোস্ট গার্ড বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়। ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীর যাত্রা শুরু করে।

গত ১৩ বছরে কোস্টগার্ডের জন্য ৭৭টি জলযান নির্মাণ ও সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আরও জাহাজ নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতে এই বাহিনীকে আরও আধুনিক যুগপোযোগী করা হবে। এই বাহিনীর সার্বিক কল্যাণে যা যা করার দরকার তা করবে সরকার।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরে ধারাবাহিকভাবে কোস্টগার্ডের জনবল বাড়িয়েছি। সুনীল অর্থনীতি ও গভীর সমুদ্রের নিরাপত্তার জন্য এই বাহিনীর জনবল ও জাহাজ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। গভীর সমুদ্র নির্ভর অর্থনীতিকে গতিশীল ও নিরাপদ রাখা এবং সুনীল অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও ব্যক্তিদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS