নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মোঃ মামুনুর রশিদ খোকনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম. জাফর ইকবাল এর উপস্থাপনায় বাংলাদেশ বে-সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বঞ্চিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহ জাতীয়করণের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজপথে প্রচন্ড ধুলাবালির মধ্যেও গত ০৪/০৩/২০২৩ তারিখ হতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৪র্থ দিনের মত অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা হতে হাজার হাজার বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অংশ গ্রহণ করছেন।
আ.স.ম. জাফর ইকবাল, সাধারন সম্পাদক বলেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যদি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মত মেকা প্রকল্প নির্মান করতে পারেন, ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান ও শিক্ষার সুব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই এই ৪১৫৯ (চার হাজার একশত উনষাট)টি বেসারকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করন করতে পারবেন। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, ০১/০৭/১৯৭৩ সনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমান একটি যুদ্ধবিদ্ধস্ত জাতিকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষে দেশকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য তাহার এক ঘোষনায় প্রথমত ৩২ হাজার এবং পরবর্তীতে বাদপড়ায় আরো ৪১৬০টি মোট ৩৬১৬০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকুরি সরকারিকরণ করেন। জাতি গঠনের নিপুন কারিগর, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিভাবক হয়ে হৃদয়ে চির স্মরনীয় হয়ে আছেন।
৯ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৬,১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে জাতির পিতারমত আরও একটি ইতিহাস রচনা করলেন। কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় যে, জাতীয়করণকালীন ২৬, ১৯৩টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিসংখ্যান করা হয়েছিল তার সংখ্যা যথাযথ না হওয়ায় জাতীয়করণযোগ্য আরো কিছুসংখ্যক বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকগণ জাতীয়করণ হতে বঞ্চিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনায় উল্লেখিত ৩য় ধাপের বিদ্যালয়গুলোর সমপর্যায়ে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তৎকালিন কিছুকর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকায়, সকলশর্ত পূরণ করার পরও বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের তালিকায় অন্তভুক্ত হয়নি।
যাহার ফলশ্রুতিতে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কিন্তু সেইসকল বঞ্চিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ধারাবাহিকভাবে ২০০৯-২০২২ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষাসমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনায় ২৬,১৯৩টি বিদ্যালয়ের তালিকার বাহিরে পার্বত্য অঞ্চলের ইউএনডিপি পরিচালিত ২১০টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন: মোঃ ফিরোজউদ্দিন- সাংগঠনিক সম্পাদক, মিজানুর রহমান, শাহনাজ পারভীন, মোঃ আলী লিটন, নাসির উদ্দিন, মনি মোহনবসু, আক্তারুজ্জামান, রায়হান, নুরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, জাকির হোসেন, সুমন, তামান্না ইয়াসমিন, সালাউদ্দিন, রুনা লায়লা, আবু তাহের, আমজাদ হোসেন, ধরণী মোহনরায়, চাঁদ আলী, সাদিক, আমিনুল ইসলাম, নিজামউদ্দিন, গাফ্ফার প্রমুখ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বৃন্দ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন: মোঃ মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি বলেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিপূর্বে আমরা জাতীয়করনের জন্য ২০১৮ সালে ১৮দিন, ২০১৯ সালে ৫৬ দিন, ২০২২ সালে ৩ দিন এই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করেছি, তখনকার সময় আকরাম আল হাসান, অতিরিক্ত সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি দল এসে আমাদের জাতীয়করনের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি, তাই এই বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কার্যালয় হইতে ২০শে ফেব্রুয়ারী ২০১৮ সালে তালিকা বহির্ভূত বিদ্যালয়ের জাতীয়করনের হালনাগাদের তথ্য চাওয়া হলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মহোদয় সঠিক তথ্য না দেওয়ায় আবারো জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত হই, তাই দাবী আদায়ের লক্ষ্যে পুনরায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়ছি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply