মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

স্মার্ট, উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে ৫ সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩

স্মার্ট, উদ্ভাবনী এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে পাঁচটি মূল সহায়তা চেয়েছেন, যা একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সংগত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।

সোমবার (৬ মার্চ) কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের (কিউএনসিসি) অডিটোরিয়াম-৩-এ অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ওপর জাতিসংঘের পঞ্চম সম্মেলনে ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন এলডিসি ফর স্মার্ট অ্যান্ড ইনোভেটিভ সোসাইটিস’ শীর্ষক একটি পার্শ্ব অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

প্রথম সহায়তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় পদক্ষেপসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে কার্যকরী প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক বেসরকারি খাতকে যথাযথ প্রণোদনা দিতে হবে।

দ্বিতীয় সহায়তা হিসেবে তিনি বলেন, এলডিসিগুলোতে ব্রডব্যান্ড বিভাজন ও প্রযুক্তিগত বৈষম্য কমাতে ডিজিটাল অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করতে হবে।

তৃতীয় সহায়তা হিসেবে তিনি বলেন, এলডিসিভুক্ত দেশগুলো যেসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবিলায় পেশাদার গবেষক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে হবে।

চতুর্থত, উত্তরণের পরও, বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি-রাসায়নিকের জন্য ট্রিপস চুক্তির অধীন এলডিসি মওকুফের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।

পঞ্চম সহায়তার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন দুটির জন্যই সহায়ক একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবস্থা বিকাশে সহায়তা দিতে হবে।

২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার পরবর্তী রূপকল্পে আরও অনেক এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি অংশীজনদের অবহিত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এটি চারটি মূল উপাদানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে: স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে তার সরকার জনগণের কাছে ২০২১ সালের মধ্যে একটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছিল। ওই সময় এটিকে ‘রূপকথা’ বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারি প্রমাণ করেছে আমরা আমাদের অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারি।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এই মহামারি আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছে যে, এলডিসিভুক্ত দেশগুলোকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে বিনিয়োগের জন্য আর অপেক্ষা করা উচিত নয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ ধরনের বিনিয়োগ করা অপরিহার্য।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS