সিলেট ভূমিকম্পের বিপজ্জনক জোন হিসেবে চিহ্নিত। টেকটোনিক বাউন্ডারি ও ফল্টের পাশাপাশি ইন্দো অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরো এশিয়ান প্লেটের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় সিলেটে এমনটা হচ্ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
তবে ভূমিকম্পের মারাত্মক ঝুঁকির জন্য সিলেটে নেই কোনো পক্ষের সতর্কবার্তা জানালেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমদ।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড, ২০২০-এর আগে সিলেটে সুউচ্চ ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানার তেমন গরজ মনে করেননি কেউ। নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ ২৭টি ভবনে চলছে কার্যক্রম। ২০২১ সালের ২৯ মে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চারবার বিভিন্ন মাত্রায় ভূমিকম্পের পর নগরীর রাজা জি সি হাইস্কুলের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে নির্মিত শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের ভবনটিতে মারাত্মক ফাটল দেখা দেয়। এই ফাটল নিয়েই শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
রাজা জি সি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল মুমিত জানান, শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০-এ সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকাকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই নগরীতে ৪৩ হাজার দালানের মধ্যে পাঁচ শতাধিক সুউচ্চ বা হাইরাইজ দালান রয়েছে। সেগুলো অতিমাত্রায় ভূমিকম্পরোধক কিনা তা নিশ্চিত নন কেউ।
তবে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান দাবি করেন, নতুন বিল্ডিং কোড কার্যকরের পর তা কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছে বলে জানালেন সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিলেট বিভাগীয় অফিসের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় ভবনটি। ভূমিকম্প বিপর্যয় মনিটরিংয়ের জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজের জন্য পর্যাপ্ত যস্ত্রপাতি ও যানবাহন।
সবশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সিলেটের নিকটবর্তী ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply