নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রয়াত সাংবাদিক শাহ আলমগীরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ শুরু করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। শুরুর বছরের এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ বদরুল আহসান। এখন প্রতি বছর শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজেসি’র নেতারা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। দেশের বাইরে থাকায় সৈয়দ বদরুল আহসানের পক্ষে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন তার ছোট ভাই ও বোন।
বিজেসি’র চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, শাহ আলমগীরের সহধর্মিনী ফৌজিয়া বেগম মায়া এবং বিজেসি’র সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ ও ট্রাস্টি রাশেদ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত শাহ আলমগীরের স্মৃতিচারণ অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মানব কল্যাণে নিয়োজিত যে পেশা, সেটি সাংবাদিকতা। তার দিকপাল ছিলেন প্রয়াত শাহ আলমগীর। তিনি সাংবাদিকতাকে একাডেমিকে রূপ দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, শাহ আলমগীরের মতো মানুষ মারা গেলে সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের ক্ষতি হয়। সাংবাদিকতায় এখন অনেক অভিযোগ আসে, সেটা এখন কিভাবে সমাধান করা যাবে? তিনি সাংবাদিকদের জন্য লড়েছেন। সুস্থ ও নীতিনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য আমৃত্যু কাজ করেছেন। তিনি আমাদের মাঝে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।
সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, শাহ আলমগীর ছিলেন আপসহীন সাংবাদিক। তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আমরা প্রথম অ্যাওয়ার্ডটি এমন একজন ব্যক্তিকে দিতে পেরেছি, যিনি কর্মে শাহ আলমগীরের কাছাকাঠি। শাহ আলমগীরের প্রতিচ্ছবি তার মধ্যে রয়েছে। শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরের বরেণ্যে ব্যক্তিদের এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এই অ্যাওয়ার্ড চালু করায় বিজেসিকে ধন্যবাদ জানান প্রয়াত শাহ আলমগীরের স্ত্রী ফৌজিয়া মায়া। তিনি বলেন, যাকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হলো, তিনি শাহ আলমগীরেরও উপরের ব্যক্তি। আমি আশা করব- শুধু সাংবাদিক নয়, যারা সমাজের উন্নতি করে যাচ্ছেন, তারাও এই অ্যাওয়ার্ড পাবেন। এর মাধ্যমে শাহ আলমগীর আমাদের মাঝে থাকবেন- এটাই আমার জন্য অনেক পাওয়া।
লণ্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সৈয়দ বদরুল আহসান আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই সম্মান শুধু আমার একার নয়, পুরো সাংবাদিক সমাজের। নিজে উপস্থিত থেকে এই সম্মান নিতে পারলে আরো ভাল লাগত।
তিনি বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে আমার সাংবাদিকতার শুরু। গত ৪০ বছর সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার করেছি। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সাংবাদিকদের চলমান সংকট দূর করতে সকলকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply