রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

মাশরাফিদের হারিয়ে ফের ফাইনালে কুমিল্লা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

জিতলেই ফাইনাল, এমন ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সিলেট স্টাইকার্স। লিগ পর্বে দাপট দেখানো স্টাইকার্স টপ অর্ডার কোয়ালিফায়ারে এসে তাসের ঘরেরমতো ভেঙ্গে গেছে। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন সুনিল নারিন। আর শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দূঢ়তায় ২০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে কুমিল্লা। ৪ উইকেটের জয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ইমরুল কায়েসের দল।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি লিটন দাস। ইনফর্ম এই ওপেনারের দ্রুত বিদায় করে অবশ্য খুব বেশি এগোতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকর্স। কারণ অপরপ্রান্তে এদিন ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন সুনিল নারিন। এই ওপেনারের ১৮ বলে ৩৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় কুমিল্লা। সাজঘরে ফেরার আগে তিন চারের সঙ্গে চারটি ছক্কা হাঁকান এই ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার।

এরপর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন জনসন চার্লস এবং ইমরুল কায়েস। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মঈন আলি। এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ বলে করেছেন ২১ রান। শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অপরাজিত ২৭ রানের সুবাদে ২০ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। সিলেটের হয়ে ৩৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করে দলের সেরা বোলার রুবেল হোসেন।

এর আগে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পায় ইমরুল কায়েসের দল। আন্দ্রে রাসেলের ফুলটস বল গাফারির কানায় লেগে সোজা চলে যায় মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে। দুই বল পর রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

তৃতীয় ওভারের শেষ বলে জাকির হাসানকে তুলে নেন মঈন আলী। মাত্র ১৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সিলেট। অনেকটা অবাক করেই পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতে আসেন মাশরাফি। শান্তর সঙ্গে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। যা ভাঙেন রাসেল। নবম ওভারে তার শিকার হওয়ার আগে ১৭ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৬ রান করেন মাশরাফি।

ঠিক পরের ওভারেই তানভীর হাসানের বলে বোল্ড হন শান্ত। ২৯ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৮ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর মুলত ধস নামে সিলেটের ব্যাটিংয়ে। ভেঙে যায় তাসের ঘরের মতো। তিন ওভার বাকি থাকতেই ১২৫ রানে অলআউট হয় তারা। মাঝে দিয়ে ২২ বলে ৪ চারে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তানভীর, রাসেল ও মুস্তাফিজুর রহমান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS