১৩১ রানের লক্ষ্য মাত্রায় ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে সাজঘরে ফেরেন নাঈম শেখ। শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। এই ওপেনার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। তিনে নামা শেখ মেহেদিকেও ফিরিয়েছেন শরিফুল। ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে রংপুর যখন ধুকছিল তখন দলের হাল ধরেন রনি তালুকদার এবং সোহান। তৃতীয় উইকেট জুঁটিতে ৯৩ রান যোগ করেন তারা। সোহান ৩৩ বলে ৬১ রান করেন। আর রনির ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ রান।
এই দুইজনের বিদায়ের পর আবারও পথ হারায় রংপুর। ১০২ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর আর ২২ রান যোগ করতে আরও ৫ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে সোহানের দল। নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে রংপুরের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। তাদের হাতে ছিল ২ উইকেট। এমন সমীকরণের সামনে নাসির হোসেন ভরসা রাখেন মুক্তার আলির ওপর। এই মিডিয়াম পেসার অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। প্রথম বলে এক রানের পর দ্বিতীয় বলে খরচ করেন দুই রান। এরপর সমীকরণ দাড়াঁয় ৪ বলে ২ রানের। তৃতীয় বলে চার মেরে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন হারিস রউফ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ঢাকা ডমিনেটর্সের। প্রথম ওভারেই ইনফর্ম মোহাম্মদ মিথুনকে হারায় স্বাগতিকরা। ৫ রান করে এই ওপেনার রান আউটে কাটা পড়েন। পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন দলের আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার নাসির হোসেন। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ২ রান। ৮ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারিয়ে দল যখন ধুকছে তখন বিপদ আরও বাড়িয়েছেন সৌম্য সরকার। ১২ বল খেলে ৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন এই ওপেনার। ১১ রানের মধ্যেই দলের তিন অভিজ্ঞ ব্যাটারকে হারিয়ে দল যখন খাদের কিনারায় তখন ডমিনেটর্সদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন তরুণ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
অ্যালেক্স ব্ল্যাক্কে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৩৮ রানের জুঁটি গড়েন মামুন। ব্ল্যাক ১১ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙ্গে সেই জুঁটি। এরপর মামুন ফিরেছেন ২৩ রান করে। আর তাতে ৭৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর আরিফুল হকের ব্যাটে ভর করে একশো পেরোয় ঢাকা। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার করেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান। শেষদিকে শরিফুল ইসলামের ১১ এবং আমির হামজার অপরাজিত ১৫ রানের সুবাদে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে ঢাকা।
এদিকে রংপুর রাইডার্সের জয়-পরাজয়ের উপরই নির্ভর ছিল খুলনা টাইগার্স, ঢাকা ডমিনেটরস ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ভাগ্য! বরিশালের বিপক্ষে দিনের প্রথম ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট প্লে-অফ খেলার আশা শেষ হয়ে যায় খুলনার। আর দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর জেতায় শুধু ঢাকা নয়, প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেছে চট্টগ্রামও।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply