নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটে ‘কবিরাজি চিকিৎসার’ নামে এক গৃহবধূকে কৌশলে অচেতন করে স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নিয়েছিলেন কবিরাজ মো. ফিরোজ মণ্ডল (৫৫) ও তাঁর সহযোগীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মধ্যেপালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে র্যাবের তৎপরতায় ফিরোজ মণ্ডলকে গতকাল রাতেই সদর উপজেলার দোগাছি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফিরোজ মণ্ডল সদর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজি চিকিৎসার নামে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব। গ্রেপ্তারের সময় ফিরোজ মণ্ডলের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও কবিরাজি চিকিৎসার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মধ্যেপালি গ্রামের মতিউর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম অসুস্থ ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য কবিরাজ ফিরোজকে খবর দেওয়া হয়। গতকাল সন্ধ্যায় ফিরোজ তাঁর দুই সহযোগীকে নিয়ে মতিউর রহমানের বাড়িতে আসেন। এ সময় ফিরোজ ও তাঁর সহযোগীরা চিকিৎসার কথা বলে বিভিন্ন কৌশলে মতিউর রহমানের স্ত্রীকে অজ্ঞান করে ফেলেন। এই সুযোগে তাঁরা মতিউর রহমানের স্ত্রীর সোনার আংটি ও কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যান। ওই সময় বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। রাবেয়া বেগম জ্ঞান ফিরে দেখেন তাঁর সোনার আংটি ও কানের দুল নেই।
পরে মতিউর রহমান মুঠোফোনে র্যাবকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল দুর্গাদহ বাজারে অভিযান চালিয়ে ফিরোজ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে।
ক্যাম্পের অধিনায়ক মোস্তফা জামান বলেন, প্রতারক ফিরোজ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাঁর দুই সহযোগী পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়েছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply