ইসরাইল আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলোতে হামলা চালাতে পারে বলে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ শেষ করা ক্যাডেটদের উদ্দেশে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইরানকে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরিয়ে আনতে চাইছে, তেহরান বেসামরিক ব্যবহারের জন্য তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিকে বাড়িয়ে তুলছে।
যদিও ইসরাইল ও তার মিত্ররা আশঙ্কা করছে, দেশটি পারমাণবিক বোমা তৈরিতে এই ইউরেনিয়াম ব্যবহার করতে পারে, ইরান প্রথম থেকেই আশ্বাস দিয়ে আসছে, তাদের ইউরেনিয়াম বোমা তৈরির জন্য নয়; বরং শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে।
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায়, তা-ও তাদের অন্তত কয়েক বছর লাগবে। চলতি মাসে ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের এক জেনারেলও এমনটাই ধারণা দিয়েছেন।
বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ শেষ করা ক্যাডেটদের উদ্দেশে গান্টজ বলেন, দু-তিন বছরের মধ্যে, তোমরা হয়তো পূর্বদিক বরাবর উড়ে যাবে এবং ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে হামলার অংশ হবে।’
রয়টার্স জানিয়েছে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইল পশ্চিমা কূটনীতি ব্যর্থ হলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে এলেও ইরানের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সুরক্ষিত ওই কেন্দ্রগুলোর ক্ষতি করার মতো সামরিক সক্ষমতা তেল আবিবের আছে কি না, তা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞই সন্দিহান।
গেল ২৫ ডিসেম্বর ইসরাইলি দৈনিক হায়োম জানিয়েছে, ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা মূল্যায়নে ২০২৩ সালে ইরান তাদের পারমাণবিক আকাঙ্ক্ষা অর্জনের পথে ‘সামান্য অগ্রগতির ধারাবাহিকতাই বজায় রাখবে’ বলে ধারণা দেয়া হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে তারা বলেছে, ‘ইরান কেবল তখনই তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনবে, যখন তার ওপর তীব্র নিষেধাজ্ঞা জারি হবে, তখন তারা সামরিক মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হবে কি না, সে বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেবে।’
সূত্রঃ রয়টার্স
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply