শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন

১০ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও চলছে লঞ্চ ধর্মঘট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে লঞ্চ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকা ধর্মঘট দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। এতে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের লঞ্চ চলাচল।

ধর্মঘটে সারাদেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে দ্বীপজেলা ভোলা। এতে অনেকটাই বিপর্যস্ত জনজীবন। ঘাটগুলো যেন সুনসান নিরবতা। নেই হকারদের হাক-ডাক, নেই কোলাহল। ঘাটেই নোঙর করা কয়েকটি লঞ্চ। 

শ্রমিকদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। কোনো কোনো যাত্রী ঘাটে এসে নৌযান না পেয়ে ফিরে গেছেন। কেউ আবার বিকল্প ব্যবস্থা গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

সোমবার (২৮ অক্টেবর) সকাল থেকে ভোলার ইলিশা, ভেদুরিয়া লঞ্চ ঘাটসহ জেলার কোনো ঘাট থেকে  অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার রুটের কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।

এসব ঘাটে অনেক যাত্রী আসলেও তারা গন্তব্যে যেতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন। তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত ফিরে গেছেন।  সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন নারী ও শিশুরা।

যাত্রী সামাদ রবিন বলেন, ভোলায় এসেছিলাম বেড়াতে, এখন বরিশাল যাব। কিন্তু কোনো লঞ্চ পাচ্ছি না। ছোট ট্রলারে কীভাবে যাবে। এটা তো অনেক ঝুঁকির ব্যাপার।

যাত্রী জুযেল বাবু ও আশিক বলেন, আমরা জানতাম না যে লঞ্চ ধর্মঘট চলছে। ঘাটে এসে দেখি এমন অবস্থা। এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছি।

নাসরিন আক্তার নামের অপর এক যাত্রী বলেন, শ্রমিকদের দাবির কাছে আমাদের কেন দুর্ভোগ পোহাতে হবে, লঞ্চ বন্ধ রেখে এভাবে যাত্রীদের বিপদে ফেলা দেওয়ার কোনো মানে হয় না।

এদিকে, ভেদুরিয়া ঘাটে দেখা গেছে, কিছুটা ভিন্ন চিত্র।  ইঞ্জিনচালিত ছোট ছোট ট্রলার ও স্পিড বোট চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে এসব নৌযানে ভাড়া নিচ্ছে অনেক বেশি।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হোসেন বলেন, ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে। লঞ্চ মালিক পক্ষ আমাদের এখনও ডাকেননি। তারা দাবি না মানলে আমাদের কর্মবিরতি চলমান থাকবে।

এদিকে লঞ্চ ধর্মঘটের কারণে বরিশালের ৬ জেলার ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে পড়েছে। তারাও পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছেন।

শ্রমিকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ন্যূনতম বেতন ২০ হাজার টাকা, শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান, শ্রমিকদের নিরাপত্তা, নৌ দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, চাঁদাবাজি বন্ধ, রাতে নৌযান চলাচল শিথিল করা, ভারতগামী জাহাজ ল্যান্ডিং করার পাস এবং কল্যাণ তহবিল গঠন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS