শেয়ারবাজার তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ত মালিকানাধীন কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) কাছে নতুন ছয়টি জাহাজ কেনায় বিষয়ে তথ্য চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসসি’র নতুন জাহাজ ক্রয় শীর্ষক প্রকল্পের বিপরীতে সরকারের প্রদত্ত ঋণের সুদ ও আসল ইকুইটিতে রূপান্তরের বিষেয়ে বিএসইসি’র মতামত চায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এই ধরাবাহিকতায় বিএসসি’র কাছ থেকে তথ্য চেয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসি’র চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএসসি’র জন্য ৬টি নতুন জাহাজ ক্রয় প্রকল্পের বিপরীতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের সুদ ও আসল ইক্যুইটিতে রূপান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে উপর্যুক্ত কাগজপত্রের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে বিএসইসি’র কাছে মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। উপর্যুক্ত বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন।
চিঠিতে মতামত প্রদানের বিষয়ে আরো উল্লেখ করা হয়, জাহাজ কিনতে ঋণ গ্রহণের তারিখ ও ঋণের মেয়াদ, গ্রহণকৃত ঋণের সুদ ৫ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত কতটুকু পরিশোধ করা হয়েছে এবং কতটুকু অপরিশোধিত রয়েছে, ঋণের সুদ হিসাবায়নের খাত সমূহ ও তার খতিয়ানের অনুলিপি, কোন তারিখ হতে ওই ৬টি ভেসেল ব্যবহার উপযোগী হয়েছিল, সেই সাথে কোন তারিখ হতে ওই ৬টি ভেসেলের প্রকৃত ব্যবহার শুরু হয়েছে, প্রতি বছরের প্রকৃত ও প্রাক্কলিত ব্যবহার সক্ষমতা, পাঁচ বছরের প্রাক্কলিত ক্যাশফ্লো স্টেটমেন্ট (ডিরেক্ট মেথড) এবং সবশেষে পাঁচ বছরের প্রাক্কলিত আর্থিক খরচের স্পষ্ট বর্ণনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে বিএসইসি’র কোম্পানি সচিব মুহম্মদ আশরাফ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি।
এর আগেও বিএসইসি’র কাছে নতুন জাহাজ কেনার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য চেয়েছিল বিএসইসি। সেখানে জাহাজ ক্রয় শীর্ষক প্রকল্পের বিপরীতে সরকারের প্রদত্ত ঋণের সুদ ও আসল ইকুইটিতে রূপান্তরের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তী ৫ বছর সময়কালে প্রাক্কলিত আয়, পরিচালন ব্যয়, প্রশাসনিক ব্যয়, আর্থিক খরচ, মোট মুনাফা, নিট মুনাফার পরিমাণ এবং শেয়ারপ্রতি আয়ের (ইপিএস) পরিমাণ কত হতে পারে সে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। আর ঋণের অথ ইকুইটিতে রূপান্তরের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিএসসি’র যে সকল ব্যবসায়িক সুযোগ সৃষ্টি হবে তার স্পষ্ট বর্ণনা চাওয়া হয়। এছাড়া ঋণ ইকুইটিতে রূপান্তরের বিষয়ে শেয়ারপ্রতি প্রদেয় মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিশ্লেষণ এবং সরকারের অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা নির্ধারণ ও সরকারের বিনিয়োগকৃত অর্থের ঝুঁকির মাত্রার হ্রাস বৃদ্ধি বিষয়ক স্বতন্ত্র প্রতিবেদন চাওয়া হয়।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply