রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ অপরাহ্ন

শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ডিএসইর চীন অংশিদারদের প্রস্তাবের অগ্রগতি জানতে চায় বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২৯০ Time View

দেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জকে কিছু শর্ত দিয়ে অনুমোদন দিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া ডিএসই’র সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য ম্যাচিং ইঞ্জিন প্রদানসহ কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবার প্রস্তাব দিয়েছিল তারা। তাই শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ডিএসইতে কৌশলগত বিনিয়োগকারী অনুমোদন সংক্রান্ত শর্ত ও চীনা প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে বিএসইসি।

সম্প্রতি ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিএসইসি। সেই সাথে বিষয়টি ডিএসই’র চেয়ারম্যানকেও অবহিত করা হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ডিএসই’র মালিকানার ২৫ শতাংশের প্রতিটি শেয়ার ২১ টাকা দামে কিনে নেয় সেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ। এ জন্য ডিএসইকে শেয়ার বিক্রি বাবদ ৯৪৭ কোটি টাকা দেয় চীনা জোট। এছাড়া কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসবে চীনা জোটের সঙ্গে ডিএসই’র চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল লেনদেনের জন্য ম্যাচিং ইঞ্জিন প্রদান। উভয় পক্ষের চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২০২৪ সালের ডিএসইকে লেনদেনের জন্য ম্যাচিং ইঞ্জিন প্রদান করবে চীনা জোটের এ দুই প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ডিএসই’র আধুনিকায়নসহ কারিগরি সহযোগিতায় ভূমিকা রেখেছে চীনা কনসোর্টিয়াম। তবে বৈশ্বয়িক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রামণের কারণে কারিগরি সহযোগিতার কাজে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৬ মে শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসাবে মূল্য সংযোজন প্রস্তাবের বিষয়ে উল্লেখ করে। এরই মাধ্যমে শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ, সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে শেয়ার ক্রয় বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ৬ (৩) এর অধীনে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক প্রস্তাবের মূল্য সংযোজনের প্রস্তাব হিসাবে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কাজ করবে। সেই সাথে তাদের প্রতিবেদনটি কমিশনের অনুমোদনে উল্লিখিত চিঠিতে আরোপিত শর্ত অনুযায়ী এই চিঠি জারির সাত দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসই’র প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘বিএসইসি’র অনুমোদন সাপেক্ষে ডিএসইতে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে সেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়ামকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে সময় কৌশলগত বিনিয়োগকারী অন্তর্ভুক্তির জন্য কিছু শর্ত দিয়েছিল বিএসইসি। ওই শর্তগুলোর পরিপালন করা হয়েছে কি-না তা জানতেই বিএসইসি চিঠি দিয়েছে। কৌশলগত বিনিয়োগকারীর বিষয়ে প্রথমবারের মতো বিএসইসি তথ্য জানতে চেয়েছে। তবে ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু শর্ত এখনও পক্রিয়াধীন রয়েছে। বিশেষ করে ডিএসইর লেনদেনের ম্যাচিং ইঞ্জিন দেবে বলে জানিয়েছে সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেনজেন কনসোর্টিয়াম, যা ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হবে। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের উন্নয়নসহ কারিগরি সহযোগিতয় চীনা কনসোর্টিয়াম ভূমিকা রেখেছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS