শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন

আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশে ৫০ লাখ কিডনি রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৬৪ Time View

গ্লোবাল ওয়ার্ড কমিউনিটি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কার্যকরী কোনো কাজই করছে না বলে অভিযোগ করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোওয়ারী। তিনি বলেন, আমরা নিজেরাও পরিবেশ নিয়ে সচেতন নই।

ঢাকার বায়ু দূষণ মাঝে মধ্যে মহামারি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এ সময় ঘর থেকে বের হওয়া উচিত নয়। আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশে ৫০ লাখ কিডনি রোগী হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

“আন্তর্জাতিক ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস-২০২২” উপলক্ষে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে সেমিনরাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. ইউনুস মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহিদ আখতার হোসেন, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ, ইউএসএআইডি পক্ষে আশরাফুল হক; ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম এর পক্ষে জাস্টিন গ্রীণ এবং ড. আবু মোস্তফা কামাল উদ্দিন।

সেমিনারে আলোচক হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা, সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদা পারভীন ও সিনিয়র প্রভাষক মাহমুদা ইসলাম; বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মারুফা গুলশাল আরা এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি রিসার্চ ফেলো হুমায়ূন কবির।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর আমাদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষ, উদ্ভিদ, প্রাণী তথা পরিবেশ প্রতিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ওজোন স্তর কীভাবে ক্ষয় হয়, এর বিস্তারিতও তুলে ধরেন তিনি।

পরে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোওয়ারী বলেন, আমরা সবসময় পরিবেশ মহামারির মধ্যে বসবাস করছি। পরিবেশ দূষণ কমানোর জন্য দেশিয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে আমরা সোচ্চার নই। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পক্ষই বৈশ্বিক উন্নত দেশের দূষণকারী থেকে আমারা ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারছি না। স্থানীয়ভাবে আমরা যে পরিমাণ দূষণ করছি তা ধারণার বাইরে। আমাদের দেশে রোগীর সংখ্যা বিশেষভাবে ক্যান্সার এবং কিডনি রোগী বাড়ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কিডনি রোগী হবে ৫০ লাখ। এত রোগীর ডায়ালাইসিস চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ রকম দুরারোগ্য অনেক ব্যাধি বাড়ছে যা আমাদের পরিবেশ দূষণের ফল।

ফাতিনাজ ফিরোজ বলেন, আমাদের জীবনের জন্য ওজোন স্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী সহযোগিতাই পারে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব রক্ষা করতে। এক্ষেত্রে যুবকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ধনীরাই মূলত পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী। আমরা বাসা, অফিস ও গাড়িতে শীতাতপ যন্ত্র ব্যবহার করি। যা হতে সিএফসি গ্যাস নির্গত হয় ফলে ওজোন স্তরের ক্ষতি হয়।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোই সিএফসি গ্যাস নির্গমনের জন্য প্রধানত দায়ী। এদের জন্য অনুন্নত দেশগুলো ভুক্তভোগী হতে পারে না।

উদ্ভিদ, প্রাণী ও পরিবেশ ওপর ওজোন স্তরের ক্ষয় ও অতি বেগুনী রশ্মির বিরূপ প্রভাব তুলে ধরতে হবে আরও বেশি করে। এছাড়া ওজোন স্তর ক্ষয় রোধে মন্ট্রিয়ল প্রোটোকল ও ইইউ রেগুলেশন মান্য করার বিকল্প নেই। এর মাধ্যমেই ওজোন স্তর ক্ষয়ের প্রতিকার করা সম্ভব।

জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি আমাদের পরিপালন করা দরকার। যদি আমরা এক্ষেত্রে সচেতন না হই তবে পরিবেশের দূষণের দ্বায় আমাদেরকেই নিতে হবে। ক্রমাগত ওজোন স্তরের ক্ষয়ের ফলে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি পৃথিবীতে চলে আসে, এর প্রভাব হতে চোখকে নিরাপদে রাখতে আমাদের সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS