শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন

সাবরিনাসহ ৮ জনের ১১ বছর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২

করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষায় ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা আরিফ ও সিইও আরিফুলসহ আটজনের ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনটি ধারায় তাদের প্রত্যেককে মোট ১১ বছর করে কারাভোগ করতে হবে।

মঙ্গলবার ( ১৯ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন। আলোচিত এই মামলায় রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ৮টায় কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের। এরপর তাদের আদালতের হাজত খানায় রাখা হয়।

এর আগে, গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের (১৯ জুলাই) দিন ধার্য করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

মামলাটিতে মোট ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ‘ভুয়া’ বলে চিহ্নিত হয়। এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হলে দুজনকেই গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা-আরিফসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে এ মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে হিমু, তানজিলা ও রোমিও দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS