শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৯ অপরাহ্ন

পুঁজিবাজারে ভাল কোম্পানি আনতে বাড়তি প্রণোদনা প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৭৪ Time View

দেশের পুঁজিবাজারে শীর্ষস্থানীয় বেশিরভাগ শিল্পগোষ্ঠির কোনো উপস্থিতি নেই। সিটি, যমুনা, আকিজ, আবুল খায়ের, পারটেক্সসহ অনেক বড় গ্রুপের একটি কোম্পানিও এই বাজারে আসেনি। নানা কারণে শিল্প গ্রুপগুলো পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহী করতে কিছু আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হলেও তা তেমন আকর্ষণীয় নয়। একটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে আয়করে যে ছাড় পায়, তালিকাভুক্তির কারণে বাড়তি নানা কমপ্লায়েন্স পরিপালন করতে গিয়ে তার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হয়। তাই ভাল কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিদ্যমান আর্থিক প্রণোদনার হার বাড়ানো প্রয়োজন।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মোঃ ছায়েদুর রহমান এ কথা বলেছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এর নবনির্বাচিত কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিদায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সিএমজেএফের নতুন সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু আলী, বিদায়ী সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বক্তব্য রাখেন।

LankaBangla
অনুষ্ঠানে বিএমবিএ ও সিএমজেএফের কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকারীসহ স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণে তারা একসাথে কাজ করবেন।

অনুষ্ঠানে বিএমবিএ সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান বলেন, দেশে ৬৩টি মার্চেন্ট ব্যাংক আছে। অথচ বছরে ১২/১৩টির বেশি আইপিও আসে না। এই বাজারকে বড় করা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে আইপিওর সংখ্যা বাড়ানোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।

সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, সেকেন্ডারি বাজারে শেয়ারে দাম বাড়লে-কমলে অর্থনীতির কিছু যায় আসে না। প্রাইমারি মার্কেটের ভাল-মন্দের উপর অর্থনীতির ভাল-মন্দ নির্ভর করে। তাই অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়াতে হলে অবশ্যই নতুন নতুন কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে হবে। কোম্পানিগুলো যদি এখান থেকে তহবিল নিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে তাহলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সরকারের কোষাগারে মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর জমার পরিমাণ বাড়বে। তবে কোনো কোম্পানিকে বাজারে আনার সময় অবশ্যই তার গুণগত মানের বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। অসাধু উদ্যোক্তারা যাতে হিসাব কারসাজি করে দুর্বল কোম্পানিকে বাজারে এনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত না করতে পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।

সিএমজেএফের সদ্য সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল বলেন, পুঁজিবাজার বিটের সাংবাদিকরা এই বাজার নিয়ে বস্তুনিষ্ট ও বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্ট করতে গিয়ে তথ্য ও পরিসংখ্যান সঙ্কটে ভুগেন। এই বাজার নিয়ে রিসার্চ তেমন হয় না বললেই চলে। দুয়েকটি প্রতিষ্ঠান কিছু রিসার্চ করলেও সেই রিসার্চ রিপোর্ট শুধু তাদের গ্রাহকদের মধ্যেই সীমিত রাখা হয়। এ বাস্তবতায় বিএমবিএ আমাদের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতি নিয়ে নিয়মিত রিসার্চের উদ্যোগ নিতে পারে, যা দেশের নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাজে আসবে। সিএমজেএফ এই রিসার্চে যৌথভাবে কাজ করতে পারে।

সিএমজেএফের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে এসেছে, তার বেশিরভাগ সম্পর্কে নানা অভিযোগ আছে। দেখা যায়, আইপিওতে আসার আগের ৩/৪ বছরে কোম্পানিগুলোর মুনাফায় উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়, কিন্তু আইপিওর পর থেকেই মুনাফা কমে যেতে থাকে। এই প্রবণতা বাজার ও বিনিয়োগকারীদের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।

তিনি মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিতে বিএমবিএকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

মত বিনিময় সভায় বিএমবিএর কোষাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রহিম এফসিএ, এএফসি ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী মাহবুব হোসেন মজুমদার, সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী, সহ-সভাপতি জেবুন্নেসা আলো, যুদ্ম সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ, কার্যকরি কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন, রোকন মাহমুদ, রফিকুল ইসলাম, বাবুল চন্দ্র বর্মণ, মুস্তাফিজুর রহমান, হুমায়ুন কবির, সদ্য সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি এম এম মাসুদ, সাবেক কার্যকরি সদস্য মাহফুজুল ইসলাম ও ইব্রাহিম হোসেন অভি উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS