
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ (শার্শা) আসনে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান লিটন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশাল কর্মী-সমর্থক বেষ্টিত হয়ে তিনি শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
মনোনয়ন দাখিল ও রাজনৈতিক আবহ
আজ ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত শেষ দিন। সকাল থেকেই শার্শার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরে জড়ো হতে থাকেন। দীর্ঘ সময় পর দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
দুপুর ২টার দিকে মোঃ নুরুজ্জামান লিটন দলীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র হস্তান্তর করেন। মনোনয়নপত্র গ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলার জন্য প্রার্থীর প্রতি আহ্বান জানান।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিএনপি
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে কার্যালয়ের বাইরে অপেক্ষমাণ কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মোঃ নুরুজ্জামান লিটন বলেন: “আজ শার্শাবাসীর জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমাকে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে যে আমানত দেওয়া হয়েছে, আমি তা রক্ষায় জীবন বাজি রেখে কাজ করব। শার্শার মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। ইনশাআল্লাহ, আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে তারা সকল অন্যায়ের জবাব দেবে এবং ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করবে।”
তিনি আরও যোগ করেন যে, সীমান্ত এলাকা হওয়ার কারণে শার্শার উন্নয়ন এবং সীমান্ত সমস্যা সমাধানে তিনি নির্বাচিত হয়ে সংসদে জোরালো ভূমিকা রাখতে চান।
উপস্থিত ছিলেন যারা; মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি, বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। নেতাকর্মীরা এসময় ‘ধানের শীষ’ এবং ‘তারেক রহমান’ স্লোগানে পুরো উপজেলা চত্বর মুখরিত করে তোলেন।
নির্বাচনী সমীকরণ
যশোর-১ আসনটি বরাবরই রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শার্শা ও বেনাপোল নিয়ে গঠিত এই আসনে দীর্ঘ সময় পর বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে নুরুজ্জামান লিটন মাঠে নামায় নির্বাচনী সমীকরণ নতুন মোড় নিয়েছে। স্থানীয় ভোটারদের মতে, তৃণমূলের সঙ্গে লিটনের শক্তিশালী যোগাযোগ ও দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার সাংগঠনিক দক্ষতা নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পরবর্তী ধাপ
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে। এরপর ২০ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ব্যালট পেপারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply