বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন ৩ বাহিনী প্রধান হবিগঞ্জে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আটক ভৈরবে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়োগ বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি তিলোত্তমার বুকে: এম এইচ রশীদ ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’- শীর্ষক নতুন ডিজাইন ও সিরিজের ৫০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোট প্রচলন প্রসঙ্গে রিং শাইন কোম্পানির সম্পদ ও কারখানা নিলামে তুলছে বেপজা, দু:চিন্তায় শেয়ারহোল্ডারা লটারিতে ৫২৭ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিয়োগ ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিস, আয়োজনে তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ গঠনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এর শোকবার্তা ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’-এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার

‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’-এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৪৪ Time View

গুমের সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ’-এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। একই সঙ্গে গুমের ফলে মৃত্যু হলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।

আর গুমের সাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট এবং গোপন আটককেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবহার করলে সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশের গেজেট জারি করা হয়েছে। এর আগে গত ৬ নভেম্বর এ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। এই অধ্যাদেশের অধীনে অপরাধ হবে জামিন ও আপস অযোগ্য।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য যদি কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার, আটক, অপহরণ বা স্বাধীনতা হরণ করার পর বিষয়টি অস্বীকার করে অথবা ওই ব্যক্তির অবস্থান, অবস্থা বা পরিণতি গোপন রাখেন এবং এ কাজের ফলে ওই ব্যক্তি আইনগত সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হন তাহলে কাজটি গুম বা শাস্তিযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। দায়ী ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

আর গুমের ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে বা গুমের পাঁচ বছর পরও তাকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব না হলে দায়ী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

যদি কোনো ব্যক্তি গুমের স্বাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করেন বা গুমের উদ্দেশে গোপন আটককেন্দ্র নির্মাণ, স্থাপন বা ব্যবহার করেন, তাহলে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে অধ্যাদেশে জানানো হয়েছে।

বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারদের জন্যও সাজার বিধান রয়েছে অধ্যাদেশে। এতে বলা হয়, যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডার বা দলনেতা এ ধরনের অপরাধ সংঘটনে অধস্তনদের আদেশ, অনুমতি, সম্মতি, অনুমোদন বা প্ররোচনা দেন, কিংবা নিজেই অংশ নেন, তাহলেও তিনি মূল অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডারের অবহেলা বা অদক্ষতার কারণে অধস্তনরা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ালেও সাজা পাবেন সেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

শৃঙ্খলা বজায় রাখা বা অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণ বা তত্ত্বাবধান করার ব্যর্থতার ফলে অধস্তনরা যদি এ ধরনের অপরাধ করেন তাহলেও তিনি মূল অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হবেন বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার আগ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির অবস্থান ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে’ গোপন রাখা যাবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক হলেও তার অনুপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS