রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ন

ইসরায়েলের হামলায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিন গাজায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। অন্যদিকে অনাহার ও অপুষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। এর মধ্যে দুজনই শিশু।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জন ছিলেন ত্রাণের খোঁজে যাওয়া সাধারণ মানুষ বলে আল-জাজিরাকে জানিয়েছে চিকিৎসা সূত্র। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গাজার রাজধানী নগরীর পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র বোমাবর্ষণ চালানো হয়েছে।

গাজা নগরী দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এটি গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্র। তবে আন্তর্জাতিক মহল আশঙ্কা করছে, এ অভিযানে ভয়াবহ প্রাণহানি ঘটবে এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হবেন।

গাজা নগরীতে বহু পরিবার তাদের ঘর ছেড়ে উপকূলের দিকে ছুটছে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী শুজাইয়া, জায়তুন ও সাবরা এলাকায় তীব্র বোমাবর্ষণ চালায়। গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কেবল জায়তুনের দক্ষিণাংশেই ১৫০০টিরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে, সেখানে আর কোনো ভবন দাঁড়িয়ে নেই।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গাজা নগরীকে হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নিহতদের মধ্যে খানের ইউনিসে বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবু শিবিরে আশ্রয় নেওয়া এক নারী ও তার শিশুও রয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা “গুম হয়ে যাওয়া” ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তাদের মতে, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে খাবারের খোঁজে যাওয়া একজন শিশুসহ কিছু মানুষ জোরপূর্বক নিখোঁজ হয়েছেন। সাতজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “ক্ষুধার্ত মানুষকে গুম করা কেবল বিস্ময়করই নয়, বরং এটি নির্যাতনের শামিল।”

তারা আরও বলেন, “খাবারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে লক্ষ্যভিত্তিক ও গণহারে মানুষ নিখোঁজ করার প্রক্রিয়া এখনই বন্ধ করতে হবে।”

গাজায় তীব্র মানবিক সংকটের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুই শিশুসহ আরও চারজন অপুষ্টি ও অনাহারে মারা গেছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ক্ষুধা-সংক্রান্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৭ জনে, এর মধ্যে ১২১ শিশু।

Please Share This Post in Your Social Media

Comments are closed.

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS