জনপ্রিয় অনলাইন গেম পাবজিতে আসক্ত হওয়ার কারণে দশম শ্রেণিতে পড়া ছেলের ফোন কেড়ে নেন বাবা-মা। এতে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্র। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের নির্মল জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বেটি ঋষেন্দ্র নামে ওই ছাত্র প্রতিদিন ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গেমটি খেলতেন। এমনকি ক্লাস করলে পাবজি খেলার সময় কমে যায় বলে দাবি করে স্কুলেও যেতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি।
ছেলেটির বাবা-মা জানিয়েছেন, তাকে কাউন্সেলিং করার জন্য একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন নিউরোসার্জনের কাছে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে অবাধ্য ছিল, বরং চিকিৎসককেও হুমকি দেন তিনি। এরপর হতাশ হয়ে তারা তিন দিন আগে ছেলের ফোন কেড়ে নেন। গেম খেলতে না পেরে মানসিক চাপে ঋষেন্দ্র ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সম্প্রতি ভারতে পাবজি আসক্তির কারণে একাধিক ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তিন কিশোর মারা যায়। তারা সবাই কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে বসে পাবজি খেলছিল। আরেকটি ঘটনায়, হায়দরাবাদের এক ট্যাক্সিচালকের গাড়ি চালানোর সময় হাতে মোবাইল নিয়ে পাবজি খেলার উদ্বেগজনক একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
একটু নজর দিন:
আপনি যদি কখনো মনে করেন, জীবন অসহনীয় হয়ে উঠছে, জেনে রাখুন— আপনি একা নন। সাহায্য চাওয়া দুর্বলতা নয়, বরং সাহসের কাজ। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন। যেটা এখন মনে হচ্ছে, তা সাময়িক— সময়, সহায়তা ও কথা বলার মাধ্যমে অনেক কিছু পরিবর্তন সম্ভব। জীবন মূল্যবান এবং এখনও অনেক সুন্দর মুহূর্ত বাকি আছে।
আপনি যদি মানসিক চাপে বা আত্মহত্যার চিন্তায় ভুগে থাকেন, অনুগ্রহ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কাউন্সেলর বা হেল্পলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সাহায্য চাইতে কখনো দ্বিধা করবেন না।
এ বিষয়ে জরুরি পরামর্শ দেয় ‘কান পেতে রই’। হেল্পলাইন নম্বর: 01779-554391 এবং 01688-709966।
প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত হেল্পলাইনে কথা বলতে পারবেন যে কেউ।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS