ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের দারুণ উত্থান ঘটছে। অভিজ্ঞদের পাশে তরুণরাও নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করে চলেছে, যার ফলে দল একের পর এক সাফল্য পাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সবশেষ টানা তিন বছর আইসিসির তিন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে ভারত। যার মধ্যে প্রথমটি (২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ) হারলেও তারপর দুটিতে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে (২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি)।
আর এই ধারাবাহিকতার পেছনে দলের অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির পাশাপাশি তরুণদের অবদানও অনস্বীকার্য। তাইতো তরুণ প্রতিভাদের হাত ধরে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ সঠিক পথেই এগুতে দেখছেন কোহলি।
বিরাট কোহলি একবার নয়, এর আগেও একাধিকবার আইসিসির বড় শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। আর এবার ভারতের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পেছনে দলীয় পারফরম্যান্সকেই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি। এছাড়া ভারতের সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (২০১৩) দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। রোববার শিরোপা জয়ের পর তিনি বলেন, ‘এটি (চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা জয়) সত্যিই অসাধারণ একটা অনুভূতি। প্রথমত, সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরের কঠিন অভিজ্ঞতার পরে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম, একটি বড় টুর্নামেন্ট জিততে চেয়েছিলাম এবং আমরা তা করতে পেরেছি। এটি একটি অসাধারণ অনুভূতি। এমন প্রতিভাবান তরুণদের সঙ্গে খেলতে পারা দারুণ ব্যাপার। ড্রেসিংরুমে এত প্রতিভা, তারা ভারতীয় ক্রিকেটকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা (সিনিয়ররা) আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে এবং সুযোগ পেলে প্রভাব ফেলতে চাই, তবে এই ছেলেরা অসাধারণভাবে দায়িত্ব নিচ্ছে, আর এ কারণেই আমরা এত শক্তিশালী দল।’
এবারের আসরের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। কোনো দলই তাদের বিপক্ষে জয় তুলে নিতে পারেনি। এর পেছনে একেক ম্যাচে দলের একেক জন কিংবা পুরো দল যৌথভাবে ভূমিকা রেখেছে। এ নিয়ে বিরাট বলেন, ‘আপনি যখন দীর্ঘদিন খেলেন এবং দীর্ঘ ক্যারিয়ার উপভোগ করেন, তখন আপনি চাপে পড়ে খেলতে এবং দায়িত্ব নিতে চান। শিরোপা জিততে হলে পুরো দলকেই ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে অবদান রাখতে হয়। এই টুর্নামেন্টে দেখা গেছে, পাঁচটি ম্যাচের প্রতিটিতেই কেউ না কেউ দায়িত্ব নিয়েছে এবং এ কারণেই আমরা এই শিরোপা জিততে পেরেছি। অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছে, গুরুত্বপূর্ণ স্পেল করেছে এবং এটি শুধু সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সম্ভব। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমরা একটি ইউনিট হিসেবে খেলতে পেরেছি এবং নিজেদের খেলাটাকে উপভোগ করতে পেরেছি। অনুশীলনে, মাঠে, মাঠের বাইরে পুরো টুর্নামেন্টটাই আমাদের জন্য সত্যিই অসাধারণ কেটেছে।’
এ সময় দলের তরুণ সতীর্থদের নিয়ে কোহলি বলেন, ‘আমি এই ছেলেদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি, আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি, তাদের বলি যে, আমি এত দিন ধরে কীভাবে খেলেছি। আপনি যখন চলে যাবেন অবশ্যই চাইবেন আপনার দলটা যেন ভালো অবস্থানে থাকে। আমি মনে করি এই ছেলেদের প্রতিভা ও ম্যাচের পরিস্থিতি বোঝার ক্ষমতা রয়েছে। তারা ইতিমধ্যে বহুবার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দায়িত্ব নিয়েছে এবং অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। শুভমান, শ্রেয়াস, রাহুল ম্যাচ শেষ করে আসছে, হার্দিক একজন ম্যাচ উইনার-তাই দল ভালো হাতেই আছে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply