মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ অপরাহ্ন

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪

১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির সংসদে এ সংক্রান্ত আইন অনুমোদন করা হয়েছে, যেটিকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর কঠোরতম আইন। খবর বিবিসির। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে কমপক্ষে ১২ মাস সময় লাগবে এবং এটি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। 

দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য এই আইন প্রয়োজন। 

এ বিষয়টিতে দেশটির অনেক বাবা-মাও একমত পোষণ করেছেন। তবে সমালোচকরা বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কার্যকর হবে এবং গোপনীয়তা ও সামাজিক সংযোগের উপর এর প্রভাব কেমন পড়বে, তা এখনও অস্পষ্ট। 

শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রচেষ্টা এবারই প্রথম নয়। তবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৬ বছর নির্ধারণ করাটা সর্বোচ্চ। সেদিক থেকে এবারের এই উদ্যোগ আলাদা। 

যারা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন বা হয়তো বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়েই করছেন, এই নিয়ম তাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে। বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির সেনেটে ৩৪-১৯ ভোটে বিলটি পাস হয়। তারপর এটি শুক্রবার সকালে প্রতিনিধি পরিষদে পাশ হয়।

“আমরা চাই আমাদের শিশুদের একটি শৈশবকাল থাকুক এবং বাবা-মায়েরা জানুক যে আমরা তাদের পাশে আছি,” দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেন।

তবে কোন কোন প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করা হবে, এই আইনে তা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি। দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী এসব সিদ্ধান্ত নিবেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ার ই-সেফটি কমিশনারের পরামর্শ নিবেন। 

তবে মন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্স অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গেমিং ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলো এ থেকে অব্যাহতি পাবে। সেইসঙ্গে, অ্যাকাউন্ট ছাড়াই যেসব সাইটে প্রবেশ করা যায়, তা নিষিদ্ধ হবে না। যেমন– ইউটিউব।  

দেশটির সরকার বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে তারা বয়স যাচাই প্রযুক্তির উপর নির্ভর করবে, এবং বিভিন্ন বিকল্প আগামী মাসগুলোতে পরীক্ষা করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর উপরই এই প্রক্রিয়া চালানোর দায়িত্ব থাকবে। 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS