বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
এফআইসিসিআই সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ পেল রবি মাধবপুরের রতন মাদকসহ সোনাবাহিনীর হাতে আটক সেমস-গ্লোবালের আয়োজনে ঢাকায় চলছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী – ৩০তম বিল্ড সিরিজ, ২৭তম পাওয়ার সিরিজ ও ৭ম ওয়াটার এক্সপো ২০২৫ Price Sensitive Information of Hwa Well Textiles (BD) PLC. নাশকতার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার সাবেক মেয়র টোটন ঢাকায় ডিবির হাতে আটক প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে যমুনা অয়েল প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস সিলেট-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ফসয়লকে চায় জনসাধারণ !! এমরানকে না ডরিন পাওয়ারের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

বিদায়ী অক্টোবর মাসে ৪৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত, আহত ৮১৫- যাত্রী কল্যাণ সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিদায়ী অক্টোবর মাসে দেশে ৪৫২ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত, ৮১৫ জন আহতের তথ্য পাওয়া গেছে। এই মাসে রেলপথে ৬৩ টি দুর্ঘটনায় ৭৬ জন নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছে। নৌ পথে ১৯ টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ০৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪ টি দুর্ঘটনায় ৫৭৫ জন নিহত এবং ৮৭৫ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ১৩৮ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহতের ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহতের ২৯.৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

আজ ২৩ অক্টোবর শনিবার সংগঠনের মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংগঠনটি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ জন চালক, ১৩৭ জন পথচারী, ৫১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ জন শিক্ষার্থী, ১৮ জন শিক্ষক, ৭৬ জন নারী, ৬২ জন শিশু, ০৫ জন চিকিৎসক, ৯ জন সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৬ জন পুলিশ সদস্য, ০৩ সেনা সদস্য, ০১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ০৪ জন চিকিৎসক, ০৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারনে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৮.২৯ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩০.৩৯ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪.৬২ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৫৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে ও ১.৮৬ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ০.২৫ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ :১. দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লংঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল।
২. জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারনে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এসব গর্তের কারনে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে।  
৩. জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।
৪. মহাসড়কের নির্মান ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।
৫. উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন।
৬. অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশসমূহ :১. জরুরী ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা ।
২. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা।
৩. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহন, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান।
৪. ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা।
৫. সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘন্টা সুনিশ্চিত করা।
৬. মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা।
৭. সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা।
৮. উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওর্য়াক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৯. মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।
১০. মেয়াদোর্ত্তীন গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।
১১. বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS