সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন

ব্যাংক লুটপাটকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪

দেশে যাঁরা নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে ব্যাংকের টাকা লোপাট করেছেন এবং টাকা পাচার করে বিদেশে সম্পদ গড়েছেন, এসব লুটেরাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ব্যাংক লুটপাটকারীদের সম্পদ খুঁজে বের করে, যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব তথ্য জানান। গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনে চলমান বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে সাইডলাইনে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।

গভর্নর বলেন, ব্যাংকের লোপাট করা অর্থ দেশে-বিদেশে যেখানেই থাক, তা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া সম্পদ মূল্যায়নে বিদেশি তালিকায় রাখা হয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বাংলাদেশ দূতাবাসের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী পেশাজীবীরা দেশের ব্যাংক খাত এবং অর্থ পাচার নিয়ে উদ্বেগ জানান।

চরম তারল্যসংকটের মুহূর্তে ব্যাংক গ্রাহকদের ধৈর্যের প্রশংসা করে গভর্নর বলেন, এমন পরিস্থিতিতেও তারা কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকে হামলা করেনি। এ জন্য নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সুদের হার প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি কমে এলে দেশে ছয় মাস পর সুদহার কমানো সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর মূল্যস্ফীতি কমাতে দেশে নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯.৫০ থেকে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এটি ২৭ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।

গভর্নর বলেন, আগামী মাস থেকে দেশের ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ সম্পদের মূল্যায়ন শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোন পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশ্বব্যাংকের কাছে নীতিসহায়তা চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় যোগ দিয়ে বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা। যুক্তরাষ্ট্রসহ দাতা সংস্থাগুলোর কাছে তুলে ধরেন নতুন এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS