বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

অবশেষে সিলেট থেকে বদলী হলেন দুর্নীতিবাজ বিআরটি এর সহকারী পরিচালক রিয়াজুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪

সিলেট প্রতিনিধি : অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বদলী হলেন বিআরটি’র সিলেট সার্কেলের সহকারী পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম। রিয়াজুলের বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ নিয়ে এতদিন তিনি সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে বহাল তবিয়তে ছিলেন। কামিয়ে নিয়েছেন কাড়ি-কাড়ি টাকা।


তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও দৈনিক প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। একটি সুত্র জানায়, তার অপকর্মের কারনে তাকে বদলী করা হয়েছে। তাকে সিলেট থেকে বদলী করে বিআারটি’র কুড়িগ্রাম সার্কেলে যোগদানের জন্য ১৪ অক্টোবর বদলীর আদেশ জারি করা হয়।
তিনি সিলেট সার্কেলে থাকা কালিন সময়ে তার বিরুদ্ধে উঠে দুর্নীতির অভিযোগ। আওয়ামিলীগ ও যুবলীগের ক্যাডার দ্বারা তিনি নিয়ন্ত্রন করতেন তার দুর্নীতির রাজ্য।


বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে সিলেট যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী, পিংকু, ইমন, উত্তম, মনসুরকে ক্যাশিয়ার বানিয়ে সার্ভার থেকে পুরোনো নথি গায়েব, রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, লাইসেন্স শাখায় ঘুষ বাণিজ্যসহ সেবা নিতে আসা জনগণকে জিম্মি করে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য আর অর্থ আত্মসাত ছিল তার একমাত্র নেশা। বিআরটিএ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারাও তাকে তোষামোদ করে ছিলেন আয়েশে। রিয়াজুল বদলীতে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতংক।


তথ্য সূত্রে জানা যায়, রিয়াজুল মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে ২০১১ যোগদান করে নানা অভিযোগে ২০১৩ সালে বদলী হন। তিনি প্রভাব খাটিয়ে ২০১৯ সালে পুনরায় যোগদান করেন। এরপর ২০২০ সনের ১২ এপ্রিল বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের এক আদেশে তৎকালীন সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সানাউল হককে সিলেট সার্কেল থেকে মাগুরায় বদলি করা হয়। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিয়াজুল ইসলাম উপর মহলে তদবীর করে ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল বিআরটিএ সিলেট ও সুনামগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে নেন। যার ফলে সিলেট সার্কেলে দালালরা মিলে সিলেট তৈরি করেন ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়ম দুর্নীতি। জানা যায়, বায়োমেট্রিক সেকশন থেকে শুরু করে মালিকানা ট্রান্সফার, গাড়ি শনাক্ত করা সব ক্ষেত্রেই রিয়াজুল ও তার দালালদের হাত ছিল। টাকা ছাড়া কোন ফাইলই নড়ত না।


ড্রাইভিং লাইসেন্স বোর্ডে দালাল মারফত না গেলে গ্রাহক যদি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরও পান, এরপরও তাকে ফেল করানো হত। কিন্তু টাকা দিলে সব ঠিক হয়ে যেত। রিয়াজুলের ঘুষ দুর্নীতির সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় তার বদলী হয়েছে বলে বিআরটিএ সুত্রে জানা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS