বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
পাঁচটি ব্যাংক একীভূতকরণে সাধারণ বিনিয়োগকারীর/শেয়ারধারকগণের স্বার্থ সংরক্ষণ প্রসঙ্গে অধিকার আদায়ে মিডওয়াইফ-এর র‍্যালি ও মানববন্ধন Price Sensitive Information of Pharma Aids Limited ৩ নবেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা সিলেটে আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে “তারুণ্য উৎসব ২০২৫” অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে কর্মচারীকে হত্যা, সাড়ে ৫ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি. ও বাংলাদেশ ব্যাংক এর মধ্যে ক্রেডিট গ্যারান্টি সুবিধার আওতায় অংশগ্রহনমূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত আলমডাঙ্গার ফরিদপুরে তাফসির মাহফিলে ভিডিও করলে মোবাইল, ক্যামেরা ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আনোয়ার গ্যালভানাইজিং দর বৃদ্ধির শীর্ষে

১০-১২ হাজার কোটি টাকার পোশাক বিক্রির প্রত্যাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২
Garments

সাধারণত বছরজুড়ে ঈদের অপেক্ষায় থাকেন ব্যবসায়ীরা । দেশে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য বরাবরই ভালো হলেও গত দুই বছরে চারটি ঈদের চিত্র ছিল ভিন্ন। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কঠোর বিধিনিষেধে ঈদের আগে মার্কেট খুলতেই পারেননি ব্যবসায়ীরা। অল্প সময়ের জন্য মার্কেট খুললেও মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকায় বেচাকেনা ছিল খুবই কম। ফলে গুনতে হয়েছে বড় লোকসান।

এ বছর দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসায় ঈদুল ফিতর ঘিরে ভালো ব্যবসার প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা। করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন ব্যবসায়। বড় লাভের স্বপ্ন দেখছেন রাজধানীর ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। নেই বিধিনিষেধও। ফলে ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য জমজমাট হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সবার একটাই লক্ষ্য—করোনাকালে ঈদে যে লোকসান হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা। তবে এখনো ঈদের বাজার জমেনি বলে জানিয়েছেন রাজধানীর ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক সময়ের মতো চলছে বেচাকেনা। তবে হঠাৎ বাজারে সব ধরনের পোশাকের দাম কিছুটা বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়বে।

এদিকে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবার ঈদের অর্থনীতি বড় হবে বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতারাও। সমিতির নেতারা বলছেন, ঈদুল ফিতরে এবার খুচরা বাজারে ১০-১২ হাজার কোটি টাকার বেচাকেনা হবে।

রাজধানীর নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে দেখা গেছে, এখনো ঈদের বাজার জমেনি। স্বাভাবিক সময়ের মতো চলছে বেচাকেনা। ঈদের সঙ্গে সম্পর্কিত কেনাকাটা এখনো শুরু করেনি মানুষ। রমজানের ১০ দিন পার হলে ঈদের কেনাবেচা শুরু হতে পারে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির দাবি, আসন্ন রোজার ঈদে বেচাকেনা ভালো হবে। সব শঙ্কা কাটিয়ে এবার ১০-১২ হাজার কোটি টাকার পোশাক বিক্রি হবে বলে আশা করছি। তবে যানজট ও চুরি ছিনতাই থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন পরিত্রাণ পান, সেদিকটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিশ্চিত করতে হবে।

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর রোজার ঈদের অপেক্ষায় থাকেন। সারাবছর যে ব্যবসা হয়, তার বড় অংশই আসে এ ঈদে। আমাদের হিসাবে এবার রোজার ঈদকেন্দ্রিক ১০-১২ হাজার কোটি টাকার পোশাক বিক্রি হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেচাকেনা শুরু হবে দ্রুতই। তবে এক ঈদে গত দুই বছরের লোকসান পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ জীবন থেকে একবার যেটা যায়, সেটা আর ফিরে আসে না। বলতে পারি, ব্যবসায়ীরা সার্ভাইভ (টিকে থাকার লড়াই) করতে শুরু করবে। ঈদের সময় চুরি-ছিনতাই বাড়ে। এজন্য মার্কেটের সড়কে যেন পুলিশ টহল জোরদার করা হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS