হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: গত বছর হবিগঞ্জের চা বাগানগুলোতে মৌসুমের প্রথম চাপাতা চয়ন করতে মার্চ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এবার মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকেই চা বাগানের ফ্যাক্টরিগুলো সচল হওয়ার প্রত্যাশা করছেন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা।
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ফয়জাবাদ চা বাগানের ব্যবস্থাপক সৈয়দ গোলাম সাকলাইন জানান, যেসব চা বাগানে সেচব্যবস্থা রয়েছে তাদের চা উৎপাদন মৌসুম শুরু হয় অনেক আগে। ফিনলে কম্পানির চা বাগানগুলোতে ইতিমধ্যে চা উৎপাদন শুরু হয়েছে।
আর যেসব বাগানে সেচব্যবস্থা নেই, তাদের অপেক্ষা করতে হয় বৃষ্টির জন্য। এবার কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মৌসুম আগাম শুরু হবে। এই বৃষ্টি ফাল্গুন ও চৈত্র মাসের যে সম্ভাব্য খরা সেই সময়ের খরায় ক্ষতির হাত থেকে চাগাছকে রক্ষা করবে।
পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হবে সাধারণত ডিসেম্বরে মৌসুমের শেষে চা-গাছ ছাঁটাই বা প্রোনিংয়ের পর নিয়মানুযায়ী দুই-তিন মাস বাগানে চা-পাতা উৎপাদন বন্ধ থাকে। ফলে চা-কারখানাও অলস থাকতে হয়। সেচ সুবিধা ও বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন কুঁড়ি গজানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে চা-পাতা চয়নের মাধ্যমে শুরু হয় চায়ের উৎপাদন। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বৃষ্টি আসাকে চা বাগানে বলা হয় ‘গোল্ডেন শাওয়ার’। এই সময়ের বৃষ্টি চা সংশ্লিষ্টদের জন্য এক আনন্দময় প্রাপ্তি। প্রতিবছর এই গোল্ডেন শাওয়ারের দেখা না মিললেও কয়েক বছর পর এ বছর হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ, বাহুবল, চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার চা বাগান গুলোতে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে এই গোল্ডেন শাওয়ার।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply