নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধায় ১৪টি ইটভাটার অনুমোদন থাকলেও চলছে ২শ’ এর অধিক ইটভাটা। এসব ইটভাটার কারণে দিন দিন কমে যাচ্ছে জেলার আবাদী জমির পরিমান। কেউ কাঁচা টাকার আশায়, কেউবা বাধ্য হয়ে ইটভাটাগুলোতে বিক্রি করছে ফসলী জমির উর্বর মাটি। এতে একদিকে যেমন বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশের, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছে জেলার খাদ্য নিরাপত্তা।
প্রতি বছর গাইবান্ধা জেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে নতুন নতুন ইটভাটা। আর এসব ইটভাটায় মাটির যোগান দিতে হারিয়ে যাচ্ছে উর্বর ফসলি জমি। গত বছর ভালো আবাদ হয়েছিল যে জমিগুলোতে, বর্তমানে সেসব জমিতেই এখন হচ্ছে না ফসলের চাষ। ইটভাটার জন্য জমির ওপরের উর্বর মাটি কেটে নেয়ায় জমিগুলোর এখন বেহাল দশা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ভাটার মালিকরা প্রথমে কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে মোটা টাকায় মাটি কেনার চুক্তি করেন। ওই কৃষকদের জমি থেকে মাটি কেটে নেবার পর সে জমির আশেপাশের জমিগুলোও হারিয়ে ফেলে পানি ধারন ক্ষমতা। ফলে আবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বাধ্য হয়ে ইটভাটার মালিকদের কাছে মাটি বিক্রি করছেন অন্য কৃষকরাও।
ইটভাটার আগ্রাসনে শুধু ফসলী জমির মাটিই সাবাড় হচ্ছে না, আবাসিক এলাকা, প্রধান সড়ক ও ফসলী জমির মাঝে ভাটা স্থাপন করায় মারাত্মকভাবে দূষণ হচ্ছে পরিবেশ, ফলজ ক্ষমতা হারাতে বসেছে গাছপালা। নষ্ট হতে বসেছে জেলার অধিকাংশ কাঁচা-পাকা সড়ক।
অবৈধ ইটভাটা চলার কথা স্বীকার করে জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ হক্কানী জানান, নতুন আইনের নানা জটিলতায় অনুমোদন না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ভাটা মালিকরা অবৈধ ইটভাটা চালাচ্ছেন।
এদিকে জেলায় এভাবে ইটভাটা গড়ে উঠা অপ্রত্যাশিত জানিয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান জানান, অনুমোদনহীন ইটভাটা বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ ভাটা বন্ধ করে দেয়া হবে।
জেলার সাত উপজেলায় ইটভাটা রয়েছে ২শ’র অধিক এর মাঝে অনুমোদন আছে মাত্র ১৪টির আর জেলা প্রশাসনের কাছে তথ্য আছে ১৭১টির।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply