ভূমিকম্পের ৯৬ ঘণ্টা পর শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় থেকে এক শিশু ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধারকৃত ঔ শিশুর নাম সেলা এলবারাজি। তার সাথে মা, বাবা, ভাই ও চাচাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় গত সোমবারের প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই দেশে মোট ২১ হাজার ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে তুরস্কের ১৭ হাজার ১৩৪ জন ও সিরিয়ার তিন হাজার ১৬২ জন মানুষ মারা গেছে। এ ছাড়া দুই দেশে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানে চলতি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের পরে আঘাত হানে আরও শতাধিক আফটারশক। এর মধ্যে কয়েকটি ছিল বেশ শক্তিশালী।
বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিপে তাইয়েপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে তুরস্কে অন্তত ৬ হাজার ৪০০টি ভবন ধসে পড়েছে। এতে ১৪ হাজার নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ।
এছাড়া সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ১৭৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুই দেশেই হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তুরস্কের উদ্ধারকর্মীরা প্রথম ভূমিকম্পের ৭৭ ঘণ্টা পরে মালটিয়ায় একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬০ বছর বয়সী এক নারীকে উদ্ধার করেছেন। কিন্তু ওসলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাওয়ায় আরও মানুষকে জীবিত উদ্ধারের আশা দ্রুত ম্লান হয়ে আসছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষের বেঁচে থাকার হার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭৪ শতাংশ। কিন্তু ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে তা ২২ শতাংশ এবং পঞ্চম দিনে মাত্র ছয় শতাংশে নেমে আসে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply