বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার এক অভাবনীয় সুযোগ দিতে দিতে পারে সরকার। এ লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরের (২০২২-২৩) জাতীয় বাজেটে রাখা হতে পারে বিশেষ ব্যবস্থা।
আলোচিত ব্যবস্থা অনুসারে, বিদেশ থেকে যে কোনো অঙ্কের অর্থ ফিরিয়ে আনতে পারবেন বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা। আর একটি নির্দিষ্ট হারে কর পরিশোধ করে নিজ নিজ আয়কর বিবরণীতে (Tax Return) তা প্রদর্শন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে কালো টাকা (সরকারের ভাষায়-অপ্রদর্শিত অর্থ) সাদা করার (প্রদর্শনের) সুযোগ পাবেন তারা। আলোচিত কর হারও হতে পারে খুবই সামান্য। করের হার হবে সরল (Flat)।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার এমন একটি প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর সোমবার (২৩ মে) অর্থমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হতে পারে। তিনি এটি অনুমোদন দিলে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত হবে। আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর থেকে চাপ কমানোর লক্ষ্যে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত এলে তা ডলার আকারে ফেরত আসবে। ওই ডলারকে এখানে টাকায় রূপান্তর করা হবে। তাতে ডলারের সরবরাহ বাড়বে।
পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগের বিষয়ে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল নিজেই আভাস দিয়েছেন। গত ১২ মে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯-২০’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই আভাস দেন। পাচার হয়ে যে টাকা দেশের বাইরে গেছে তা ফেরত আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশে টাকা রেখে লাভের চেয়ে লোকসান বেশি।’
পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এমন সুবিধা দেব, যাতে সবাই টাকা নিয়ে ফিরে আসেন।’
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply