নিজ জেলা সফরে সমাবর্তন, উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন ও সম্মাননা গ্রহণ করবেন নোবেলজয়ী
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রামে সরকারি সফরে যাচ্ছেন। দিনব্যাপী এই সফরে তিনি অংশ নেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে। তার আগমন ঘিরে বন্দরনগরীতে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ এবং চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
ড. ইউনূস তার কর্মজীবনের সূচনা করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা দিয়ে। সেই শেকড়েই আজ তিনি ফিরছেন দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে থেকে। সফরের শুরুতেই তিনি যাবেন হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে, যেখানে তার পৈতৃক ভিটা অবস্থিত। একই দিন তিনি ঐতিহাসিক জোবরা গ্রামও পরিদর্শন করবেন—যেখান থেকে শুরু হয়েছিল ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের বৈপ্লবিক যাত্রা।
সফরের অন্যতম প্রধান অংশ হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। বিকেলে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন। এই সমাবর্তনে ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২২ হাজার ৬০০ জন গ্র্যাজুয়েটকে সনদ এবং ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে। চবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচন ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। সেখানে তিনি বন্দর, নৌপরিবহন ও লজিস্টিক খাতের বিভিন্ন প্রতিনিধি এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সভায় চলমান প্রকল্প, বে-টার্মিনাল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা তুলে ধরা হবে।
সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে সার্কিট হাউসে গিয়ে তিনি কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মাণাধীন কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। পাশাপাশি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন।
এছাড়া ড. ইউনূস চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত ২৩ একর জমির দলিল হস্তান্তর করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানিয়েছেন, “প্রধান উপদেষ্টার নিজ জেলায় এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দিনব্যাপী সকল কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, “এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। প্রায় এক লাখ মানুষের উপস্থিতি প্রত্যাশা করছি। সমাবর্তনের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply