শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ অপরাহ্ন

সিলেটে লোড শেডিংয়ের মাত্রা মারাত্মক হারে বেড়েছে

আবুল কাশেম রুমন
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৮৫ Time View

সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে গত কয়েক দিন ধরে বেড়েছে বিদ্যুতের লোড শেডিং। জনসাধারণের ভোগান্তির শেষ নেই। গত দুই দিন থেকে গরম বাড়ার সাথে সাথে সিলেটে লোড শেডিংয়ের মাত্রা মারাত্মক হারে বেড়েছে। এতে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘণ্টায়-ঘণ্টায় হচ্ছে লোডশেডিং। দিন রাত কোনো বিরতি নেই। সন্ধ্যা থেকে ভোররাত, সকাল থেকে বিকাল একঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে এক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। নাওয়া খাওয়া ঘুম থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো কিছুতেই স্বস্তি মিলছে না। এই অবস্থা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোনো আশার কথা শুনাতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। বৃষ্টিতে আবহাওয়া শীতল হলে কমবে চাহিদা, কমবে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে গরমে চাহিদা  বেড়েছে কিন্তু সেই আলোকে উৎপাদন বাড়েনি। তাই সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে।

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুতের ২১০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মিলছে ১৫৪ মেগাওয়াট। ফলে ঘাটতি ছিল ৫৬ মেগাওয়ার্ট। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৪৩ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ মিলছে ১০৩ মেগাওয়াট। জেলায় বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে ৪০ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন েেবার্ড সিলেট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির জানান, গরম বাড়ায় চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বাড়েনি, ফলে সরবরাহ কম থাকায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই লোডশেডিং করতে হচ্ছে। কাল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টিপাত বাড়লে চাহিদা কমবে, তখন লোডশেডিং কমে আসবে।

এদিকে গত দুই দিন থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমে মানুষের নাভিশ^াস উঠেছে। এমনকি নামাজের সময়ও থাকছেনা বিদ্যুৎ। এতে মসজিদে মুসল্লিদের ঘেমে নেয়ে নামাজ পড়তে হচ্ছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে এখন  বেশির ভাগ মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটা করতে গিয়ে আগের মতো আলোবাতাস ঢুকার পথ বন্ধ করা হয়েছে। এসব মসজিদে নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকলে চরম বিড়ম্বনাময় অবস্থা তৈরি হয়। এক সাথে অনেক মানুষের উপস্থিতিতে মানুষের নিঃশ^াসে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যায় প্রায়।

লোডশেডিংয়ের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছায় ঘরে বাইরে কোথাও একটু স্বস্তি মিলছেনা। সারারাত থেমে থেমে লোডশেডিংয়ের পর সকালে যে একটু ঘুমাবেন তারও উপায় থাকছে না। ৬/৭ টার সময় চলে যায় বিদ্যুৎ। একঘণ্টা পর এসে একঘণ্টা থেকে আবার চলে যাচ্ছে। গরমের কারণে এই দূর্ভোগ বেড়েছে অনেক।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS