কোটা সংস্কার আন্দোলন ও শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাগুলো আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নেওয়া হতে পারে। এ লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, আমরা আগামী মাসের ১১ তারিখ থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছি। এর মধ্যে সব গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছি। সরকার যদি এ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে নির্দেশনা দেয় তাহলে আমরা নতুন সংশোধিত সময়সূচি করে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেবো। তারা প্রস্তুতি নিয়ে যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে, সেই সময়ও তাদের দেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার (১২ আগস্ট) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্থগিত পরীক্ষাগুলো পূর্ণ নম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে। শিগগির এসব পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হবে।
গত ৩০ জুন সিলেট বোর্ড বাদে সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
সূচি অনুযায়ী, এখনো ১৩ দিনের মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি।
সর্বশেষ সব পরীক্ষা স্থগিত করে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী আগামী ৮ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগ ও সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানায় বোর্ডগুলো।
বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ায় এবং দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষাগুলো নেওয়ার ব্যাপারে কাজ করছে স্ব স্ব বোর্ড।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply