মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন

সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

সরকারের সঞ্চয়পত্র বিক্রি ধারাবাহিকভাবে কমছেই। আবার ট্রেজারি বিল ও বন্ডে এখন অনেক বেশি সুদ মিলছে। ফলে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ না বেড়ে উল্টো কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ গত অর্থবছরের চেয়ে কমেছে ১৪ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে তার আগের অর্থবছরের চেয়ে কমেছিল ৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। এর ফলে শেষ সময়ে সরকারের ব্যাংক ঋণে নির্ভরতা বাড়ছে।

জানা গেছে, সরকার অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণের প্রতি বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ৯১ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের বিশেষ নিলাম ডেকে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা করা হয়েছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গত মে মাস পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ গত অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে ৬১ হাজার ৩২০ কোটি টাকা, যা ১৫.৫৭ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। আর আগামী অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এক বছর মেয়াদি ট্রেজারি বিলে টাকা রেখে এখন ১২ শতাংশ সুদ মিলছে। ট্রেজারি বন্ডে সর্বোচ্চ সুদহার উঠেছে ১২.৮০ শতাংশ, সঞ্চয়পত্রের তুলনায় যা বেশি। আবার ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মুনাফার বিপরীতে কোনো কর দিতে হয় না। উল্টো কর রেয়াত পাওয়া যায়। তবে ব্যাংক আমানত ও সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর নির্ধারিত হারে কর কাটা হয়। এ ছাড়া যে কোনো বিনিয়োগের মধ্যে ট্রেজারি বিল ও বন্ডকে বেশি নিরাপদ মনে করা হয়।

সার্বিকভাবে সরকারের ব্যাংক ঋণ বাড়লেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার নিচ্ছে না। এর কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেয়। গত মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ঋণ ১৬ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকে বেড়েছে ৭৮ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে সরকারের ব্যাংক ঋণ বেড়েছে ১৫.৫৭ শতাংশ। যেখানে গত এপ্রিল পর্যন্ত এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ৯.৯০ শতাংশ। গত বছরের এপ্রিল শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছিল ১১.২৮ শতাংশ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS