ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভৈরবে নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রতিপক্ষ সমর্থকের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৮ জুন) ভাঙচুরের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযোগটি উঠেছে ফুটবল প্রতীকের নিয়ে বিজয়ী প্রার্থী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা ইয়াছমিনের সমর্থক এলাম আলী ও রাহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, মহিলা ভাইস চেয়ামরম্যান সানজিদা ইয়াছমিনের শ্বশুর বাড়ি জগমোহনপুর গ্রামে। গ্রামে তার সমর্থনের ঐক্যতা থাকলেও হাসঁ মার্কা নিয়ে নির্বাচন করা মনোয়ারা বেগমের পক্ষে কাজ করেছেন একই গ্রামের আশিক মিয়া নামের এক প্রবাসী। ৫ জুন নির্বাচনে জয়ী হয়ে রাতে ফুটবল মার্কা সমর্থকরা আশিক মিয়ার বাড়িঘরে হামলা চালায়। ভাঙচুরের শব্দে স্থানীয়রা ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভোক্তভোগীর প্রতিবেশি নাসিমা বেগম বলেন, রাতে কারেন্ট ছিল না। ভাঙচুরের শব্দে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে কয়েকজন যুবক আশিকের ঘর ভাঙচুরের চেষ্টা করে। আমি তাদের বাধা দিয়েছি এবং তৎখানিক ঐ বংশের লোকদের কাছে গিয়ে বিচার দিয়ে আসছি।
এ বিষয়ের স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ মিয়া জানান, আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি ফুটবল মার্কা সমর্থকেরা বিজয়ী মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে আশিক মিয়ার বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। বাড়িতে কোন লোকজন ছিল না। আমি তাদের বাঁধা দিলে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী আশিক মিয়া বলেন, আমি ২০ বছর যাবত দেশের বাহিরে থাকি। হাঁস মার্কা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আমার আত্মীয়। এজন্য বাউল বাড়ির এলাম আলী ও কজার বাড়ির রাহাজ উদ্দিন দলবল নিয়ে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। আমাকে ফোনে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। আমি ভৈরব শহরে পরিবার নিয়ে থাকি। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমি আইনের সহায়তা কামনা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এলাম আলী বলেন, আমার উপর যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে আলকাস মিয়ার বাড়িতে পারিবারিক একটি দরবারে তারাই বলে নিয়ে গেছে। আমি ঐ দরবারে দরবারি হিসেবে গেলে প্রথমে এক পক্ষের সাথে কথা না মিললে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে তা শেষে মিমাংসা হয়ে যায়। কিন্তু মিমাংসার পর আমারই ভাগ্নে আশিক পারিবারিক দ্বন্দ্বটিকে আমার উপর নির্বাচনী মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টা করছে।
আশিক আমার ছেলেদের বিদেশে ফোন করে আমার নামে মিথ্যা কথা বলে আমার ছেলেদের সাথে দ্বন্দ্বে সৃষ্টি করছে। পরে রাগে আমি আশিককে ফোনে ভাগ্নে হিসেবে কয়েকটা উল্টা পাল্টা কথা বলি তা আমি নিজেই শিকার করি। কিন্তু এখন সে এই পারিবারিক বিষয়টাকেই রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করে আমাকে ফাসাঁনোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে সানজিদা ইয়াছমিন জানান, আমি নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় একটি পক্ষ আমার মান হানির চেষ্টা করছে। আমার কোন সমর্থক কারো বাড়িঘর ভাঙচুর করেনি। করলেও আমার জানা নেই।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply