শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ অপরাহ্ন

মায়ের লাশ আটকে রেখে দুই ছেলেকে পুলিশে দিল ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৫৭ Time View

খুলনা জেলা প্রতিনিধি: খুলনায় চিকিৎসকের অবহেলায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ইন্টার্ন চিকিৎসক সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মৃতের দুই ছেলেকে পুলিশে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শনিবার ভোর রাত ৩টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।

এ দিকে হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ লাশ আটকে রেখেছে বলে দাবি করেছে মৃতের পরিবার।

মৃত পিয়ারুন্নেছা (৫৫) মহানগরীর দৌলতপুরের পাবলা কারিকর পাড়ার মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।

মৃতের স্বামী মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার স্ত্রীর বুকে ব্যাথা ও পায়খানা-প্রসাব না হওয়ায় শুক্রবার রাতে মেডিকেল হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। ওই রাতে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। শনিবার রাতে আমার স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর হলে আমার ছেলে চিকিৎসকদের ডাকতে যায়, কিন্তু কোনো চিকিৎসক আসেনি উল্টো রোগীকে নিয়ে যেতে বলে। ছেলে বলে রোগীকে কী করে আনবো তিনি তো অসুস্থ, আনা সম্ভব নয়। ডাক্তার তখন কাগজপত্র আনতে বলেন। কাগজপত্র দেখে ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন সব তো ঠিক আছে। এরপর রাতে ছটফট করতে করতে আমার স্ত্রী মারা যায়।

মায়ের এমন মৃত্যুতে আমার ছেলে মো. মোস্তাকিম গিয়ে ডাক্তারের কাছে জানতে চান তারা কেন দেখতে আসলেন না। এ নিয়ে ছেলের সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয় চিকিৎসকের। আমি যখন জানতে পারি গিয়ে হাত পায় ধরে মাফ চাই। এসময় একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক আমাকে আঘাত করেন। অপর দুই ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম কাবির ও সাদ্দাম হোসেনকে পুলিশে দিয়ে দেন। তারা বর্তমানে সোনাডাঙ্গা থানায় আটক রয়েছেন। আর আমার স্ত্রীর লাশও হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক কামরুল হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, মানুষ মারা গেলে একটি প্রসিকিউট আছে। সে অনুযায়ী লাশ ছাড়তে হয়। লাশ আটকানোর তো কিছু নেই। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য পুলিশ তাদের নিয়ে গেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোন জিডি বা মামলা করিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS