নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করলেও প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কর্পোরেট গ্রুপ গুলোর কৃত্রিম সংকটে মুরগির বাচ্চা ক্রয় করতে না পেরে উৎপাদন থেকে বাধ্য হয়ে সরে যাচ্ছে প্রান্তিক খামারিরা।
উৎপাদনে প্রান্তিক খামারিরা না থাকায় থামানো যাচ্ছে না মুরগির বাজারের পাগলা ঘোড়াকে। মুরগির বাজারের এখন বেশিরভাগ মুরগি হচ্ছে কর্পোরেট গ্রুপদের মুরগি ও তাদের দাদনকৃত খামারগুলোর মুরগি যার বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কর্পোরেট গ্রুপ। অতএব বাজারে মুরগির দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। সরকারের দায়িত্ত প্রাপ্ত কর্মকর্তা গন প্রান্তিক খামারিদের সাথে সম্পর্ক না রেখে কর্পোরেট গ্রুপ দের সাথে সম্পর্ক রাখে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন ( বিপিএ )প্রান্তিক খামারিদের সংগঠনকে সকল জায়গায় মিটিং এর আমন্ত্রন পেলেও প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর ডি এল এস কখনই আমন্ত্রণ করেন না তারা শুধু কর্পোরেট গ্রুপদের নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের মতামতের ভিক্তিতে সব কিছু বাস্তবায়ন করেন । যার কারনে প্রান্তিক খামারিরা বিপর্যয়ের মুখে।
এখনি যদি সরকার অসাধু কর্মকর্তা ও কর্পোরেট গ্রুপদেরকে আইনের আওতায় এনে জবাব দিহিতা চেয়ে প্রান্তিক খামারিদেরকে সুরক্ষা দিয়ে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে তা না হলে মহা বিপর্যয় পরবে প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্পে এবং ১৭ কোটি ভোক্তা জিম্বি হয়ে পরবে । প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্পপের ৫০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আইনে বলা উৎপাদক ৩০% লাভ করতে পারবে কর্পোরেট গ্রুপদের জন্য এক আইন এবং প্রান্তিক ছোট ছোট খামারীদের জন্য অন্য আইন কেন।
একটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করতে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দিল ১০০% প্রফিট দিয়ে ৬৩ টাকা। সেই নির্ধারিত দামে মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায় না প্রান্তিক খামারিদের সেই বাচ্চা ক্রয় করতে হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায় অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির ফিড উৎপাদন করতে খরচ হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা প্রান্তিক খামারীদের সেই ফিড ক্রয় করতে হয় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি।
প্রান্তিক খামারীদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এবং প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য দেয়া হচ্ছে না প্রান্তিক পর্যায়ের খামারীদের এক কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতে খরচ হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দিল ১৪৯ টাকা এবং একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং তা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করল ১০ টাকা ৪৯ পয়সা উৎপাদন খরচ না দেখে কেন বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হলো উৎপাদন খরচ না জেনে বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হলে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
প্রান্তিক খামারিরা উৎপাদন করবে ন্যায্য মূল্য দেওয়া না হলে উৎপাদনে টিকতে পারবে না ডিম মুরগির বাজারে কখনোই স্বস্তি মিলবে না তার মানে কর্পোরেট গ্রুপগুলোউ ১০০ থেকে ২০০% লাভ করবে এবং প্রান্তিক ছোট ছোট উদ্যোক্তা যারা তারা উৎপাদন করে প্রায় ২৫ পার্সেন্ট লস করে বিক্রি করতে হবে আমাদের এই বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেধে দেয়া মূল্যের প্রজ্ঞাপনকে উইদ্ধ করে নিতে বিনীত ভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং সকল উৎপাদক এবং ব্যবসায়ীদের কে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply