শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন

ভৈরবে ৩দিন ব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু

ইমন মাহমুদ লিটন 
  • আপডেট : শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৭২ Time View

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: শীত মানেই পিঠা-পুলির খাওয়ার আয়োজন।

আবহমানকাল থেকে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হরেক রকমের পিঠা বাঙালি পরিবারের রসনা বিলাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে থাকলেও বর্তমান যান্ত্রিক নগর জীবনে সেই ঐতিহ্য আজ অনেকটায় ম্রিয়মান হয়ে উঠছে। আর বর্তমান এই যান্ত্রিক নগর জীবনে পিঠার সঙ্গে পরিচয় এবং এর স্বাদ ছড়িয়ে দিতে ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৬ষ্ঠ বারের মত ৩দিন ব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে।

পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ, ভৈরব এর আয়োজনে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) থেকে আগামী রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত ভৈরব বাজার রাজকাচারি মাঠে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই পিঠা উৎসব। 

পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি ইমরান হোসাইন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. জিল্লুর রহমান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাকির হোসেন কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম বাকি বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ ও কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য আসমা আহমেদ, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন মোল্লা, নিরাপদ সড়ক চাই ভৈরব শাখার সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন প্রমুখ।

পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ, ভৈরব এর সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন জানান, শীত মৌসুমে বাংলার ঘরে ঘরে হরেক স্বাদের পিঠা-পুলির আয়োজন হয়। এটি বাঙালী লোকজ সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ স্মারক। কিন্তু বর্তমান যুগে বাঙালীর এই লোকজ সংস্কৃতি যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। বাঙালী সংস্কৃতিতে হরেক রকমের পিঠা রয়েছে যার নাম হয়ত অনেকের জানা-ই নেই। দেশীয় এ ঐতিহ্যকে লালন করার উদ্দেশ্যে ভৈরবে আমরা ৬ষ্ট বারের মত পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। এ উৎসবে সবাইকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালনসহ এর সমৃদ্ধিতে সকলের অংশগ্রহণ কামনা করেন তিনি।

পিঠা উৎসব দেখতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত পৌষ মাসে পিঠা উৎসব হয়ে থাকে। তবে শীত মানেই বাড়িতে বাড়িতে পিঠা উৎসব। যদিও এখন আর গ্রাম ছাড়া শহরে পিঠা দেখা যায় না। খাওয়াতো অনেকে দূরে, অনেক পিঠার নামও এখন মনে পড়ে না। এখন শহরের মানুষের একমাত্র ভরসা রাস্তার পাশে বানানো চিতই আর ভাপা পিঠা। এ আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে।

এছাড়া পিঠা উৎসবে শুকনা পিঠা, শামুক পিঠা, পাটি সাপটা, দুধ চিতল, ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, ক্ষীর পাটি সাপটা ও নারিকেল বেলি পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা দেখা গেছে। একেকটির স্বাদ একেক রকম। একেকটি দোকানে ৫০ ধরণের পিঠা থাকলেও সবগুলোর নামও অজানা অনেকের কাছেই।

এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা মানুষজনও ফুলি পিঠা, নারিকেল পিঠা ও পাটি সাপটাসহ নানান ধরণের পিঠার স্বাদ নিচ্ছেন। এছাড়া পিঠার স্বাদ নেয়ার পাশাপাশি উৎবে আসা মানুষজন ৩দিন ব্যাপীই উৎসবস্থলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে সন্ধ্যায়। এবারের পিঠা উৎসবে ১৫টি স্টল রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS