মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

ক্ষুধা নিয়ে ঘুমান ৭৮ কোটি মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪০৫ Time View

এই মুহূর্তে বিশ্বের ৭০ কোটি মানুষ জানে না, তারা আবার কখন খেতে পারবে বা আদৌ পারবে কি না, আর ৭৮ কোটিরও বেশি মানুষ অর্থাৎ প্রতি দশ জনে এক জনকে রোজ ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমোতে যেতে হয়। সাড়ে ৩৪ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে খাদ্যের কোনও নিরাপত্তা নেই। এই সংখ্যাটা ২০২১ সালের প্রথমদিকে কোভিড অতিমারির আগেও ২০ কোটি কম ছিল।

বৃহস্পতিবার এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প। সংস্থার উদ্বেগ, ক্ষুধার সঙ্কট ক্রমবর্ধমান। বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের কার্যনির্বাহী প্রধান সিন্ডি ম্যাককেইন নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, অনুদানের অভাবে খাদ্য রেশনে কাটছাঁট করতে হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতেও তা করতে হবে।

প্রয়াত মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইন স্ত্রী সিন্ডি নিরাপত্তা পরিষদে স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমরা এমন সব ঘটমান এবং দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলেছি, যাতে মানবিক অভাব-অনটন বেড়ে যাচ্ছে। এটাই এখন ‘নিউ নরমাল’। এর ধাক্কা আরও অনেক বছর ধরে ভুগতে হবে। এই সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে সামরিক সংঘর্ষ, অর্থনৈতিক ধাক্কা, পরিবেশের সঙ্কট এবং সারের দামবৃদ্ধি। এই সবের মিলিত অভিঘাতে, বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের নিজস্ব হিসাব বলছে, ৫০টি দেশে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের ঠিক আগের অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। পাঁচের কম বয়সি সাড়ে চার কোটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।

অতিমারি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি অনেক বেশি ঘোরালো করে তুলেছে বলে সরাসরিই মানছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। সারের দাম বাড়ায় ধান, গম, ভুট্টা, সয়াবিনের ফলন কমেছে। এমতাবস্থায় ক্ষুধার সঙ্কটকে সামাল দিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বাড়ানোর উপরে জোর দিচ্ছে ডব্লিউএফপি। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো অবশ্য তাতে রাজি।

মাস্টারকার্ডের সিইও মাইকেল মিব্যাচ যেমন নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে বলেছেন, ‘‘এত দিন অবধি ত্রাণের কাজটা সরকারের হাতেই থেকেছে। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি অর্থ জুগিয়েছে। কিন্তু তারা চাইলে এর বেশিও করতে পারে। সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারে।’’ গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর তরফে জ্যারেড কোহেন বলেন, এমন অনেক বহুজাতিক সংস্থা আছে যাদের আয় জি২০-ভুক্ত কিছু দেশের জিডিপি-র চেয়ে বেশি। এই সঙ্কটকালে তাদের অনেক বেশি করে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের (ডব্লিউএফপি) সদর দপ্তরটি রোমে। ৭৯টি দেশে কাজ করে তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS