ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানবপাচারকারি চক্রের নারীসহ ৩ দালালকে গ্রেফতার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো শিবপুর ইউনিয়নের জামালপুর মাইজহাটি এলাকার জনুফা বেগম, অনুফা বেগম, কালু মিয়া। আজ মধ্যরাতে আটককৃতদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের আয়ুব আলী মিয়া তার ছেলে কবির মিয়াকে ইতালী পাঠাতে লিবিয়ায় বসবাসরত ফারুক মিয়ার স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে। তাদের কথায় ফারুক মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলে আস্হা হই।
ফারুক মিয়া জানায় আপনার ছেলেকে সরকারি ভাবে প্রথমে লিবিয়া নিয়ে ঐখান থেকে পরে ইতালী পাঠাবে। এতে খরছ হবে দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। আমি ফারুক মিয়া ও তার স্বজনদের কথায় বিশ্বাস করে জমিজমা বিক্রি করিয়া আমার কয়েকজন লোক সাথে নিয়া ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী বিবাদী ফারুক মিয়ার সাথে কথা বলিয়া তার কথামত ফারুক মিয়ার স্বজন বিবাদী শাহিদা আক্তারের কাছে দশ লক্ষ টাকা ও আমার ছেলের পাসপোর্ট তুলে দেই। টাকা পাওয়ার পর ২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী আমার ছেলেকে লিবিয়া পাঠানোর পর ফারুক মিয়া লিবিয়ায় তার বাসায় আটকে রেখে আরো টাকার জন্য অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে।
এছাড়াও আমার ছেলেকে নির্যাতনের দৃশ্য এবং আমার ছেলের সাথে কথা বলাইয়া আরো বিশ লক্ষ টাকা দাবী করে নতুবা আমার ছেলেকে ইতালী না পাঠাইয়া তাকে মেরে হত্যা করা হবে। আমার ছেলের জীবন রক্ষাথে নিজ বসতঘর বিক্রি করিয়াও ধারদেনা করিয়া ২০ লক্ষ টাকা জোগাড় করে গত ১৩ অক্টোবর ৪ নং বিবাদী অনুফা বেগমের হাতে দিই। ঠাকা পেয়ে ফারুক মিয়ার সাথে কথা বলে আমাকে আশস্থ করে ১ সপ্তাহের মধ্যে আমার ছেলেকে ইতালী পাঠাবে বললেও ইতালী না পাঠিয়ে বিভিন্ন তাল বাহানা ও মানসিক ও শারীরিক নির্যাত করতে থাকে। এক সময় সুযোগ বুঝ আমার ছেলে ফারুক মিয়ার বাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে চাপাই নবাবগঞ্জের আব্দুল্লাহ নামের লোকের মাধ্যমে পুনরায় ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ইতালীতে পৌছে।
মামলার বাদী আয়ুব আলী সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলেকে নির্যাতন করায় এবং মিথ্যা প্রতারনা করে আমার কাছ থেকে মোট ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করায় বিচার চেয়ে অজ্ঞতসহ ৮ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছি।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply