গত রোববার রাত ১২টা থেকে আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত চারদিনে বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার করেছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৩৩টি যানবাহন। এতে এই সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫০ টাকা।
শুক্রবার বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এতথ্য জানান।
বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১৭/১৮ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার করে। ঈদের কারণে গত রোববার রাত থেকে এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তারপর প্রতিদিনই যানবাহন বৃদ্ধির হার অব্যাহত রয়েছে। তবে শুক্রবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করেছে।
টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, গত বুধবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত ৩২ ঘণ্টায় ৫৬ হাজার ১২৮টি যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার করেছে। এর মধ্যে সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে (টাঙ্গাইল প্রান্ত) উত্তরবঙ্গের দিকে যায় ৩৭ হাজার ১৮৪টি যানবাহন। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে গেছে ১৮ হাজার ৯৪৪টি যানবাহন। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার ২০০ টাকা।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২ টা থেকে গত বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৬৯ টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা। গত সোমবার রাত ১২ টা থেকে গত মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩০ হাজার ২৫১টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। সেসময় টোল আদায় হয় ২ কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৫৫০ টাকা।
এছাড়া গত রোববার রাত ১২টা থেকে গত সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২২ হাজার ৪৮৫ টি যানবাহন সেতু পারাপার করেছে। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা।
পুলিশ সূত্র জানায়, অন্যবারের তুলনায় এবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তেমন যানজট হয়নি। ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় এবং এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক এক মুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা করায় যানজট এড়ানো গেছে।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন টাঙ্গাইল থেকে সেতু পর্যন্ত গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কে তেমন যানবাহনের চাপ নেই। খুব সহজেই যানবাহন চলাচল করছে।
এলেঙ্গা গ্যাস স্টেশনে বগুড়াগামী মাইক্রোবাসের যাত্রী শফিকুল ইসলাম জানান, চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে তেমন অসুবিধা হয়নি। স্বাভাবিক সময়ের মতো এক ঘণ্টায় এ পথ পাড়ি দিতে পেরেছি।
হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদ হাসান জানান, রাতে সেতু ওপর একটি গাড়ি বিকল হওয়ায় সেতু এলাকায় কিছুটা যানজট হয়েছিলো। সকালের মধ্যেই সে জট কেটে যায়। দুপুরের দিকে যানবাহনের চাপ কমে আসে।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS