সমাজ বদলে দেয়া জীবনধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সমাজে অন্যায়-অপরাধ প্রবণতা কমানোর শক্তি রয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পের। তাই জীবনধর্মী সিনেমা বানান। শিশুতোষ চলচ্চিত্রও বেশি বেশি নির্মাণ করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে চারটায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রগুলো ডিজিটাল ভার্সনে রূপান্তর করে প্রচার করতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিহাস সংরক্ষণের তাগিদেই ডিজিটালাইজেশন করতে হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক সিনেমা হল নির্মাণে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে সরকার। সেখান থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন হল নির্মাতারা। এ ছাড়া চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ডে সমাজের বিত্তশালীদের পাশাপাশি শিল্পীদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময় চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের অর্থ আগামীতে আরো বাড়ানোর উদ্যোগ কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের বিশ্বজয়ের আশাপ্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, সব বাধা ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যাবে দেশ। আর সেন্সর বোর্ড সিনেমা বন্ধ নয়, আরো মানসম্মত চলচ্চিত্রের জন্যই করা হয়।
তিনি বলেন, অনেক বাধা, ঝড়-ঝাপ্টা আসছে। যতই বাধা আসুক, তা অতিক্রম করার শক্তি রয়েছে বাঙালির।
এ সময় এফডিসির কমপ্লেক্স নির্মাণের ধীর গতি কেন, প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেন তিনি।
চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আরো জাঁকজমক হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, তবে আমার সময়ের অভাবেই যদিও বিস্তৃতভাবে এটা করা যায় না। স্বীকার করে নিচ্ছি। তবে আগামীতে চাই আরো নান্দনিকভাবে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটা যাতে হয়।
দেশে গণমাধ্যমের পর্যাপ্ততা ও অবাধ প্রচার সুযোগের মধ্যেও বাক স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কের সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, এত এত চ্যানেল, সারা দিন ধরে টক শো করেও অনেকে অভিযোগ করেন, কথা নাকি বলতে দেয়া হয় না।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply