শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
৭-০ গোলের জয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শেষ করল বাংলাদেশ নারী দল পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি যোগাবে : প্রধান উপদেষ্টা তথ্যনির্ভর সাংবাদিকতা পুঁজিবাজার উন্নয়নে ভূমিকা রাখে : বিএসইসি গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে : প্রেস সচিব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না: অর্থ উপদেষ্টা ভৈরবে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ৩ তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রূপগঞ্জে বিএনপির বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ও চারাগাছ বিতরণ সারাদেশে অব্যাহত মব সন্ত্রাস, সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নড়াইলে আরজেএফ অর্থ সচিব ফারুকুল ইসলাম এর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত কমিউনিটি ব্যাংকের সঙ্গে হোটেল সারিনার ক্রেডিট কার্ড সেবা সংক্রান্ত ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষর

হবিগঞ্জে সুতাং নদীর পানির প্রবাহ না থাকায় শুকিয়ে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক

লিটন পাঠান
  • আপডেট : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি: সুতাং নদীতে নেই পানির প্রবাহ ব্যাহত কৃষিকাজ এতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জের সুতাং নদী ভরাট হয়ে শুকিয়ে গিয়েছে নদীতে পলি পড়ে পানির প্রবাহ একেবারে বন্ধের দিকে। ফলে ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ স্থানীয় কৃষকরা জানান, সঠিক সময়ে খনন না করার কারণে নদীটির এখন অচলাবস্থা। বর্ষার দিনে কিছুটা পানি আসলেও বর্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদী পুরো শুকিয়ে যায় এতে ব্যাপকভাবে বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয় কৃষকদের, রহিম মোল্লা নামের এক কৃষক বলেন, পানি ছাড়া কি কৃষিকাজ করা যায় বর্ষাকালে নদীতে সামান্য পরিমাণে পানি থাকে, তা দিয়ে কোনোরকমে ইরি ধান লাগিয়েছিলাম। বর্ষার শেষে আবার ধানের চারা লাগানোর সময় নদী শুকিয়ে যায় যার কারণে সেচকাজ না করতে পারায় আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

হেলাল মিয়া নামের এক কৃষক বলেন চারা রোপণের আগে জমি চাষাবাদের উপযুক্ত করতে প্রচুর পানি দিতে হয়। এরপর চারা রোপণের পর নিয়মিত সেচকাজ চালিয়ে যেতে হয় কিন্তু আমাদের নদীতে পানিই থাকে না। এমন হলে আমরা কীভাবে চাষাবাদ করবো এর আগেও ঠিকমতো পানি দিতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে স্থানীয় একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনছি এই নদী খনন করা হবে সেই আশায় অপেক্ষা করছি। কিন্তু কোনো কাজতো শুরু হচ্ছে না পানির অভাবে ঠিকমতো চাষাবাদ করতে না পারায় এই অঞ্চলের অনেক কৃষক এখন অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছেন বলেও জানান তারা।

হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, আপাতত যে সকল ফসল চাষে অল্প সময় প্রয়োজন সেসব চাষাবাদ করা যেতে পারে। নদী খনন হয়ে গেলে ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষ করা যাবে, এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, আমরা জেনেছি যে পানির অভাবে ওই অঞ্চলের কৃষকরা ঠিকমতো চাষাবাদ করতে পারছেন না এই নদীটি খননের জন্য এখনো কোনো প্রকল্পের টেন্ডার হয়নি। এমনকি এটি একনেক সভায়ও পাশ হয়নি ৬৪ জেলায় খাল খনন প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মাত্র।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS