রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা দেবে এনসিপি ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি বগুড়া জেলা কমিটি গঠিত ২০ বছর ধরে কর্মস্থল থেকে বেপরোয়া সিলেট টিটিসির অধ্যক্ষের ড্রাইভার বিল্লাল সিলেটের জকিগঞ্জ ৮ গ্রাম থেকে নিখোজ এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার ইসলামী ব্যাংক রংপুর ও বগুড়া জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর ৪১৫তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত আমরা ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছি ত্রিদেশীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা করলো পাকিস্তান গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার রূপকল্প জুলাই ঘোষণাপত্র: তথ্য উপদেষ্টা ৩৩ বছর পর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এলো শাহরুখের ঘরে

আলমগীর: ইসির নিবন্ধন পাবে তৃণমূল বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত। অতএব দলটি নিবন্ধন পাবে বলে আমরা ধরে নিতে পারি।

বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।

একই নামে দুটি দলের নিবন্ধন হয়ে যাচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক তিনি বলেন, জাসদের তো একই নামে দুটি দল আছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ। তাদের মার্কা কী হবে তাও তো বলে দিয়েছেন আদালত। তাদের মার্কা হবে সোনালী আঁশ।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, যত দ্রুত সম্ভব দলটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে। দেরি করার তো সুযোগ নেই। আদালত নির্দেশনা দেওয়ার পর তো আর মাঠে খতিয়ে দেখার সুযোগ নেই। কেননা, আদালতের নির্দেশ আমরা পালন করতে বাধ্য। আদালত নিশ্চয়ই সেগুলোর প্রমাণ পেয়েছেন।

নতুন দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ৯৩টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। পাঁচটি দল নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় আবেদন না করায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। দুটি দল আবেদন উইথ-ড্র করেছে।

প্রাথমিক যাচাইয়ে আবেদনপত্রের সঙ্গে যেসব তথ্য দেওয়া প্রয়োজন ছিল সেগুলো অনেক দল দেয়নি। আমরা সেগুলো দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা দিয়েছে। আগামী রোববার যাচাই কমিটি ফের সেগুলো নিয়ে বিকেল ৩টায় বসবে। এরপর মাঠ পর্যায়ে দলগুলোর কার্যালয়, কমিটি আছে কি-না, এসব খতিয়ে দেখা হবে। এতে তারা উত্তীর্ণ না হলে নিবন্ধন পাবে না। অর্থাৎ প্রত্যেকটি বিষয় দেখা হবে।

জামায়াত নেতাদের নতুন দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধী, অথবা যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, তাদের তো সংবিধান, নীতিমালা এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া যাবে না। অনুমান নির্ভর কিছু বলা যাবে না। সবকিছু আমাদের আইনের ‍দৃষ্টিতে বলতে হবে। আমাদের বলতে হবে সংবিধান বিরোধী কিছু থাকলে, আমাদের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নিষেধ আছে, সেগুলো যদি থাকে, আদালতের যে পর্যবেক্ষণ আছে বিশেষ করে জামায়াতের বিষয়ে সেগুলো তো বিবেচনায় নিতে হবে। বিবেচনায় নিয়ে সেগুলোর কোনো সংশ্লিষ্টতা যদি থাকে তাহলে তো দেওয়া যাবে না। সংবিধান, আরপিও-এর শর্ত ও উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের আলোকে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৩৯টি। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এ সংখ্যা আরও বাড়বে।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, গত পাঁচ বছর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনগণ বর্তমান সীমানা নিয়ে কাজ করেছেন। যেহেতু ২০১৮ সালে কমিশন শুনানি করে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাই তাদের যদি কোথাও সমস্যা থাকে, তাহলে তাদের বক্তব্যের মাধ্যমেই জানতে পারব। কাজেই যেটা আছে, সেটা থাকুক। সেটার ওপর আবেদন আহ্বান করলে তখন দেখা যাবে। তাদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই। এজন্য আমরা কোথাও হাত দিচ্ছি না। যেটা এখন আছে সেটাই খসড়া হিসেবে প্রকাশ করব। আমাদের নীতিমালা এবং তাদের আপত্তি দুটোই আমলে নেব। এরপর শুনানিতে যেটা যৌক্তিক হবে সেটাই সিদ্ধান্ত হবে। এজন্য আমরা কোনো চাপে নেই। আমরা কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাই না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS