নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনে ২ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে অবৈধ ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬টি। যার ফলে বৈধ ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৬ ভোট। যা বর্তমান কমিশন আয়োজিত স্থানীয় সরকারের সিটি ভোটে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট।
রংপুর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন স্বাক্ষরিত প্রাথমিক বেসরকারি ফলে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার দায়িত্বভার গ্রহণ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। বিদায়ী নূরুল হুদা কমিশনের আয়োজিত একাদশ ভোট নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভোটিং ব্যবস্থায় আস্থা ফেরানোর কথা বারবার বলে আসছিল এই কমিশন। তারপরই গত ১৫ জুন কুমিল্লা সিটিতে ভোট করেছে এই কমিশন। সেখানে ভোট পড়েছিল ৫৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। তবে রংপুর ভোটে কাস্টের পরিমাণ বেড়েছে আরো ৮ শতাংশ।
এদিকে দ্বিতীয়বারের মতো রংপুর সিটির মেয়র হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ২২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর সম্মিলিত ফলে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তফা।
২০১৭ সালের নির্বাচনে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল ২৯ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়ে তৃতীয় হলেও এবার ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
৩৩ হাজার ৩৬৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন সাবেক মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর ভাগনি জামাই স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন।
ভোটের হিসেবে এ নির্বাচনে বিজয়ীর চেয়ে অনেক কম ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। তিনি ২২ হাজার ২৩৯ ভোট পেয়েছেন।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থী আবু রায়হান ডাব প্রতীকে ১০ হাজার ৫৪৯ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান মশাল প্রতীকে ৫ হাজার ১৩৮ ভোট, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন গোলাপ ফুল প্রতীকে ৫ হাজার ৮০৯ ভোট পেয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি হরিণ প্রতীকে ২ হাজার ৬৭৯ ভোট এবং খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে ২ হাজার ৮৬৪ ভোট পেয়েছেন।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply