বিনিয়োগকারিদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তামহা সিকিউরিটিজ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোঃ হারুনুর রশিদ ও তার সহযোগিদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএফআইইউ গত ৫ জানুয়ারি এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে বলে জানা গেছে।
বিএফআইইউ’র এক কর্মকর্তা বলেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারিদের অর্থ আত্মসাত করায় তামহা সিকিউরিটিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও তার সহযোগিদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এতে এখন থেকে তারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে বা স্থানান্তর করতে পারবে না।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, তামহা সিকিউরিটিজ ও প্রতিষ্ঠানটির এমডি’র স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
এর আগে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠায় গত ডিসেম্বরের ৯ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তামহা সিকিউরিটিজ’র ব্রোকারেজ থেকে শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে।
তামহা সিকিউরিটিজ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর বিএসইসি ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তারা এ অভিযোগের সত্যতা খুজে পায়। এবং কমিটির সদস্যরা আরো জানতে পারে যে, ব্রোকারেজ হাউসটি তার প্রায় দুই হাজার গ্রাহকদের শেয়ার ও জমাকৃত অর্থের হিসাব রাখতে দুটি পৃথক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে। তারা একটি দিয়ে প্রকৃত তথ্য এবং অন্যটি দিয়ে ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করত।
দুটি প্রথক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করায় বিনিয়োগকারীরা প্রকৃত তথ্য জানতে পারেনি। এভাবে প্রায় দুই হাজার বিনিয়োগকারি তামহা সিকিউরিটিজ এর কাছে প্রতারণার শিকার হন।
তামহা সিকিউরিটিজ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারিদের একাউন্ট থেকে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা সরিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে বেড়িয়ে এসেছে।
বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত দেড় বছরে তামহা সিকিউরিটিজসহ তিনটি ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের জুনে গ্রাহকদের ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ অফিস বন্ধ করে। এবং ২০২১ সালে জুনে গ্রাহকদের ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজের লেনদেন স্থগিত করে ডিএসই।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply