বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিন আজ শুক্রবার ভোর থেকে বরিশালে শুরু হয়েছে সড়কপথ ও নৌপথে ধর্মঘট। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোনোরকম ঘোষণা দেওয়া না হলেও বন্ধ রয়েছে বাস, থ্রি হুইলার ও দূরপাল্লার রুটের লঞ্চ চলাচলও।
মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ রাখার দাবিতে দুদিনের ধর্মঘট ডেকেছে এখানকার বাস মালিক সমিতি। অন্যদিকে মহাসড়কে সাত দফা দাবিতে আজ এবং শনিবার যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে থ্রি হুইলার মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, গণসমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতে ক্ষমতাসীন দলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সব ধরনের গণপরিবহণের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও আওয়ামী লীগ নেতারা তা স্বীকার করেননি।
মালিকরা বলছেন, দুদিনের জন্য লঞ্চ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে তাদের। শ্রমিক লীগের নেতারা মালিক সমিতির অফিসে গিয়ে এ নির্দেশনা দিয়ে এসেছেন। একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে ভাড়ায়চালিত মাইক্রোবাস প্রাইভেটকার এবং নৌপথে চলাচলকারী ভাড়ার স্পিডবোট। সব মিলিয়ে সকাল থেকে অনেকটাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বরিশাল।
সব ধরনের গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। গন্তব্যে পৌঁছতে না পেরে অনেককেই অপেক্ষা করতে দেখা গেছে লঞ্চঘাট ও বাস টার্মিনালে।
এদিকে বিএনপির গণসমাবেশস্থলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। রাতে সামিয়ানা টাঙিয়ে এবং চাদর বিছিয়ে সেখানে অবস্থান করেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। রান্না খাওয়া এবং ঘুমও চলছে মাঠেই।
বিএনপি নেতারা বলছেন, হাজার বাধা সত্ত্বেও শনিবারের গণসমাবেশ হবে সর্বকালের সর্ববৃহৎ জনসভা। কোনো বাধাই নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে আটকে রাখতে পারবে না।
Design & Developed By: ECONOMIC NEWS
Leave a Reply