রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

গবেষণা ও উদ্ভাবনে একসঙ্গে কাজ করবে বুয়েট-ওয়ালটন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৪৩০ Time View

প্রযুক্তিপণ্যের গবেষণা ও উদ্ভাবনে পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময়ের উদ্দেশ্যে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ওয়ালটন গ্রুপের দুটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বুয়েটকে গবেষণা কর্মের প্রজেক্ট হস্তান্তর করা হয়। সেইসঙ্গে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অর্থ ও ল্যাপটপ ও ডেক্সটপ প্রদান করা হয়। ওই চুক্তির ফলে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ওয়ালটন কারখানায় গবেষণা ও কাজের সুযোগ পাবেন। যার মধ্যে রয়েছে গ্রাজুয়েট ও আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের থিসিস, কারখানায় ইন্টার্নশিপ ও ট্রেনিং, পরামর্শক দলের কারখানা পরিদর্শন, কর্মী উন্নয়ন ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন খাত আরো সমৃদ্ধ হবে। ব্রেইন ড্রেইন’ হয়ে দেশের মেধা পাচার বন্ধ হবে। দেশের শিল্পোন্নয়নে দেশের মেধা কাজে লাগবে। আগামি দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনের লক্ষ্যে দেশের ৪টি শীর্ষ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করে ওয়ালটন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।

মঙ্গলবার বিকেলে (১৮ জানুয়ারি ২০২২) বুয়েটের কাউন্সিল ভবনের কনফারেন্স হলে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়। সে সময় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র সঙ্গে বুয়েটের ভিন্ন ভিন্ন চুক্তি হয়।

বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং ওয়ালটন ডিজি- টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। ভিন্ন আরেকটি চুক্তিতে বুয়েটের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (রাইজ)-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ডিএমডি আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডিএমডি লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্টিজের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণানন্দ বৈরাগী প্রমুখ।

সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবনী মেধায় সমৃদ্ধ। কিন্তু গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় তারা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখন ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনের ফলে তারা ওয়ালটনে গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে পারবে। আমাদের সবার অবদানে দেশীয় শিল্পখাত সমৃদ্ধ হবে। বাংলাদেশের পণ্য বিশ্বজয়

এস এস রেজাউল আলম বলেন, আমাদের প্রকৌশলীরা মেধাবী। তাদের মেধা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের যে সামর্থ আছে, সেটার সর্ব্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের শিল্পখাত অনেক এগিয়ে যাবে। দেশ এগিয়ে যাবে। গোলাম মুর্শেদ বলেন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও উদ্ভাবনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তাদের কাজের স্বীকৃতি ও ব্র্যান্ডিং হচ্ছে না। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয় ঘটছে ওয়ালটনে। ফলে মেধাবীরা ওয়ালটনে সুযোগ পাবেন প্রযুক্তি নিয়ে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার।  দেশের মেধাবী প্রকৌশলীরা যখন দেশেই গবেষণা ও উদ্ভাবনের পর্যাপ্ত সুযোগ পাবেন, তখন সেই লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে। সেজন্য ইন্ডাস্ট্রি- একাডেমিয়া কোলাবরেশনের এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS