শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪৪তম সভা অনুষ্ঠিত সেলসফোর্স বাজারে আনলো এজেন্টফোর্স ৩: এআই এজেন্ট পরিচালনায় সহজ সমাধান ডেঙ্গুতে মৃত্যু আরও ১ দর বৃদ্ধির শীর্ষে দেশ গার্মেন্টস প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্তি ও স্বীকৃতির দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ ও দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধসহ অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই- বাংলাদেশ নারী মঞ্চ নাসিরনগরে হত্যা মামলার আসামী ধরতে ওসি’র গড়িমসি, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন লেনদেনের শীর্ষে বিচ হ্যাচারি রেকিট বেনকিজারের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভা ০৭ জুলাই

ফুলছড়িতে ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে ফলাফল সীট জালিয়াতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৩৮৪ Time View

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার ফুলছড়িতে পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের ফলাফল সীট জালিয়াতি করে পরাজিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারী পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৪৮৬ জন। নদী ভাঙনের কারণে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ওই ওয়ার্ডের আনন্দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার ২৬৭ জন ও চর চৌমহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার ২১৯ জন ভোটারের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। ৫ জানুয়ারী সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। আনন্দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও গুনভরি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহসীন আলী পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা শেষে ভোট কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করেন এবং পোলিং এজেন্টদেরকে ফলাফল সীট সরবরাহ করেন। সেখানে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বি আবু বক্কর টিউবওয়েল প্রতীকে পান ৮৫০ ভোট ও মোমিনুল ইসলাম মোরগ প্রতীকে পান ৪১ ভোট। এরআগেই চর চৌমহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও কঞ্চিপাড়া ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক সুনীল কুমার বর্মণ তার কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন। সেখানে টিউবওয়েল প্রতীক পায় ৩৩ ভোট ও মোরগ প্রতীক পায় ৪৯৫ ভোট। দুই ভোট কেন্দ্রে একত্রে টিউবওয়েল প্রতীক পায় ৮৮৩ ভোট ও মোরগ প্রতীক পায় ৫৩৬ ভোট। সে হিসেবে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী আবু বক্কর নির্বাচনে জয়লাভ করে। ভোটের ফলাফল হিসেবে করে পরাজিত মোরগ প্রতীকের প্রার্থী মোমিনুল ইসলাম ও তার লোকজন নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে আনন্দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার সহ নির্বাচনী সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সহ ভোট গ্রহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা গভীর রাতে নিরাপদে ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলে আসেন। আনন্দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহসীন আলী রাতেই কেন্দ্রে ঘোষিত ও পোলিং এজেন্টদের নিকট সরবরাহ করা ফলাফল সীট পাল্টিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অন্য একটি ফলাফল সীট দাখিল করেন। সেখানে ফলাফল পাল্টিয়ে আবু বক্করের টিউবওয়েল প্রতীকের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৮৫০ ভোটের স্থলে ৪৪৭ ভোট, আহের আলীর আপেল প্রতীকের ৬৪ ভোটের স্থলে ১৯০ ভোট, জাহাঙ্গীর আলমের তালা প্রতীকের ১০৫ ভোটের স্থলে ৩৬৭ ভোট সাইফুল ইসলামের ভ্যানগাড়ী প্রতীকের ১০ ভোটের স্থলে ২৫ ভোট দেখানো হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া ফলাফল অনুযায়ী মোরগ

প্রতীকের প্রার্থী মোমিনুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী আবু বক্কর বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ফলাফলের দাবী করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী আবু বক্কর বলেন, ‘ফলাফল সীট জালিয়াতির বিষয়ে আমি প্রিসাইডিং অফিসার মহসীন আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে মামলা সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখান। আমি যেন এবিষয়ে কোথাও কোন অভিযোগ না করতে পারি সেজন্য ভোটের পরেরদিন আমাকে সহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা মিথ্যা আসামী করে ফুলছড়ি থানায় নির্বাচনী সামগ্রী ছিনতাইয়ের একটি মামলা দায়ের করেছেন।’
আনন্দবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও গুনভরি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহসীন আলী তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘আমি ভোট কেন্দ্রে যে ফলাফল ঘোষণা করেছি, তাই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করেছি। ফলাফল জালিয়াতি করা হয় নাই।’
এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দাখিলকৃত ফলাফল সীটের ভিত্তিতে মোমিনুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি কোন অনিয়ম করেছেন কিনা এটা আমার জানা নাই। তবে নির্বাচন সংক্রান্ত সংক্ষুব্ধ যেকেউ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারেন। এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2025 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS