রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

বিধিনিষেধেও লেনদেন চলবে পুঁজিবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫০০ Time View

করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। এই বিধিনিষেধে পুঁজিবাজারে লেনদেন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংস্থাটির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ অর্থসূচককে বলেন, সংক্রমণ যতই বাড়ুক পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ হবে না, যদি ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি ব্যাংকিং সময়সীমা পুনঃনির্ধারণ করে তাহলে পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময়সীমাও সে অনুযায়ী পুনঃ নির্ধারণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, গত বছরের এপ্রিলে লকডাউন ও জুলাইয়ে শাটডাউনের মধ্যে ব্যাংকের সময়সীমার সঙ্গে সমন্বয় করে যেভাবে লেনদেন চলেছিল, সেভাবেই এবারও লেনদেন চলবে। কোনোভাবেই লেনদেন বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, লেনদেন চললেও সরকার ঘোষিত সব ধরনের সচেতনমূলক নির্দেশনা মেনেই পুঁজিবাজারে লেনদেন করা হবে। এক্ষেত্রে করোনা মহামারির নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রম থেকে বিনিয়োগকারীদের রক্ষা করতে হলে প্রথমে তাদের (বিনিয়োগকারীদের) সচেতন হতে হবে। সংক্রমন বাড়লে ট্রেডিং হাউজ বা ব্রোকারেজ হাউজে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, লকডাউন ও শাটডাউনের সময় ব্রোকারেজ হাউজে না গিয়ে ঘরে বসেই অনলাইনে বা ফোনেই শেয়ার কেনাবেচার অর্ডার দিতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা।

অনলাইনে বিনিয়োগ করতে গিয়ে এর আগে ঝামেলায় পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অনেক সময় লেনদেনেও সমস্যা হয়েছে। ফলে অনলাইনে ট্রেডিং সিস্টেমে কোন সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার আর সেই সমস্যা হবে না। কেননা আমাদের অনলাইন ট্রেডিং সিস্টেম আগের তুলনায় আপডেট করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণের পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে ৬৬ দিন পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকে। তবে আলোচ্য সময়ে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকে।

২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনের ঘোষণা আসার পর বিএসইসি জানায়, ব্যাংক চললে পুঁজিবাজারও চলবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করার পর লকাউনের আগে দুই কর্মদিবস বড় দরপতন হয়।

পরে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন জানায়, সীমিত পরিসরে ব্যাংক চলবে, বিএসইসিও তখন সময় কমিয়ে লেনদেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতে সে সময় ব্যাংক চালু থাকে আড়াই ঘণ্টা, পুঁজিবাজার চালু থাকে দুই ঘণ্টা। পরে কিছুদিন পর ব্যাংকে লেনদেনের সময় বাড়ে, সময় বাড়ে পুঁজিবাজারেও।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর »

Advertisement

Ads

Address

© 2024 - Economic News24. All Rights Reserved.

Design & Developed By: ECONOMIC NEWS